—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার হল আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। আত্মহত্যা, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও পরিবারের অভিযোগ, আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই আইনের ছাত্রী। সেই সম্পর্কে টানাপড়েন বা অন্য কোনও কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রেমপত্র উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ থানার প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত পড়ুয়া ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, পড়াশোনার ফাঁকে প্রতিদিন প্র্যাকটিসের জন্য স্থানীয় এক আইনজীবীর চেম্বারে যেতেন ওই ছাত্রী।
মৃতার পরিবারের দাবি, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তবে সন্ধ্যায় খবর আসে ওই আইনজীবীর চেম্বারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। পরিবারের লোকেরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি প্রেমপত্র পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের দাবি, ওই চিঠি থেকেই স্পষ্ট, মৃতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ওই আইনজীবীর। অভিযোগ, সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। পরিবারের তরফে আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই আইনজীবী। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ছে তদন্তকারীদের। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।