—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিভিন্ন সময়ে খড়্গপুরের আইআইটি প্রাঙ্গণে মৃত্যু হয়েছে একাধিক কুকুর ও বিড়ালের। মঙ্গলবার ওই চত্বর থেকে একটি কুকুরকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক অধ্যাপিকা। তিনি পশুপ্রেমীও। ওই কুকুরটির ‘রহস্যমৃত্যু’র কিনারা করতে তিনি অভিযোগ দায়ের করে দেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানান। সেইমতো হল ময়নাতদন্ত।
খড়্গপুর প্রদ্যোগিকি অ্যানিম্যাল সোসাইটির সদস্যা মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ দেখতে পেয়েছিলেন, আইআইটি চত্বরের রাস্তায় একটি স্ত্রী কুকুর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে নিজের কোয়ার্টারে নিয়ে এসে শুশ্রূষা করছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় কুকুরটির। এর পরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত হিজলি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা। কী ভাবে ওই কুকুর অসুস্থ হয়েছিল, যার কারণে মৃত্যু , তা জানার জন্য ময়নাতদন্তেরও দাবি জানান। সেই দাবি মতো মেদিনীপুরের রাজ্য পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ হল কুকুরের দেহের ময়নাতদন্ত।
ওই পশুপ্রেমী বলেন, ‘‘গত ২ বছরে আইআইটি ক্যাম্পাসে ৮টি কুকুর ও ২টি বিড়ালের মৃত্যু হয়েছে। এ বার ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে কুকুরের মৃত্যুর কারণ।’’ পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক জানান, মৃত কুকুরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কলকাতার ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হবে।