শ্মশানে ডেকে খুনের অভিযোগ

বনগাঁ শহরের শ্মশান-সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার থেকে বাপ্পা দাস (৪২) নামে দীনবন্ধুনগরের ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে দেহ মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
Share:

বাপ্পা দাস

ইছামতী নদীতে ভাসছিল এক যুবকের দেহ। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। তারক দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

বনগাঁ শহরের শ্মশান-সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার থেকে বাপ্পা দাস (৪২) নামে দীনবন্ধুনগরের ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারই ওই যুবকের মা গীতা দাস থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। রাতের দিকে শ্মশান থেকে বাপ্পার সাইকেলটি উদ্ধার হয়। সে সময়ে নদীতেও খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। কিন্তু দেহ মেলেনি।

বুধবার সকালে বাপ্পার মা গীতাদেবী বাপ্পার পরিচিত তারকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পরে শক্তিগড়ের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় তারক খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তদন্ত চলছে।

Advertisement

মায়ের সঙ্গে থাকতেন বাপ্পা। ভুবনেশ্বরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দিন পাঁচেক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। ২২ তারিখ ভুবনেশ্বরে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তারকের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করতেন বাপ্পা। গীতাদেবী বলেন, ‘‘ছেলে তারকের কাছে ২ হাজার টাকা পেত। ফেরত চাইলে ঝামেলা বাধে। ওই টাকার জন্যেই ছেলেকে মেরে নদীতে ফেলা দেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ তারক ফোন করে বাপ্পাকে শ্মশানে আসতে বলে। গীতাদেবীর কথায়, ‘‘ভাত খেয়ে যেতে বলেছিলাম। বলল, টাকা নিয়ে এসে খেতে বসবে।’’

কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হয়নি। রাত ৮টার পরে গীতাদেবীরা বনগাঁ শ্মশানে যান। জানতে পারেন, সেখানে তাঁর ছেলেকে কয়েকজন মিলে মারধর করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন