পণের দাবিতে কীটনাশক খাইয়ে এক বধূকে খুনের অভিযোগে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও জা-কে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে হাবরার আসরাফবাদ কলোনি থেকে তাঁর শ্বশুর সুরজিৎ মণ্ডল ও মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি পাচি, জা সঙ্গীতাকে ধরা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম পুজা গায়েন (১৮)। মৃতার মা সাধনা গায়েনের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত পুজাদেবীর স্বামী দীপঙ্করের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছ’য়েক আগে হাবরার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কলোনি এলাকার বাসিন্দা পুজার সঙ্গে বিয়ে হয় দীপঙ্করের। পুজার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, বিয়েতে পণ হিসাবে অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে নগদ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আরও পণের দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হত না মেয়েকে বলে জানান সাধনাদেবী।
অভিযোগ, বাড়ি তৈরি করবে বলে পুজার বাপের বাড়ির থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা দিতে না পারায় পুজাকে মারধরও করা হত। সোমবার রাতেও পুজাকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কীটনাশক খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁর মুখে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয়। এরপর হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিকেলে দীপঙ্কর ফোন করে পুজাদেবীর বাপের বাড়িতে খবর দেয় যে তাঁর দিদি অসুস্থ। পুলিশ জানিয়েছে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা পুজাদেবীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।