টুকরো খবর

গুলি-বোমা নিয়ে গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। গুরুতর জখম অবস্থায় এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার খোলাচটি গ্রামে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩৬
Share:

সন্দেশখালির গ্রামে হামলার জেরে গণপিটুনিতে মৃত ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

Advertisement

গুলি-বোমা নিয়ে গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। গুরুতর জখম অবস্থায় এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার খোলাচটি গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম অনুপ মণ্ডল (৩৫)। এসডিপিও (বসিরহাট) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণের অভিযোগে ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, খোলাচটি গ্রামের বাসিন্দা পবিত্র দাস এবং অময় ভুইঁঞার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছিল। একটি মামলায় দু’জনেরই জেল হয়। আগে জামিন পান পবিত্র। ওই সময়ে সে অময়ের স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার গয়না বিক্রি করে টাকা নিজের কাছে রাখে পবিত্র। জেল থেকে বেরিয়ে অময় তার স্ত্রী এবং পবিত্রের খোঁজ শুরু করে। সে পবিত্রের বাবা এবং বৌদিকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। সালিশি বসে। সেখানে ঠিক হয় অমিয়র স্ত্রী নিজের স্বামীর কাছে ফিরে যাবে। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। কিন্তু গয়না বিক্রির টাকা ফেরত দেয়নি পবিত্র। সেই নিয়ে নতুন করে বিবাদ শুরু হয়। ফের গ্রামের মাতব্বরেরা সালিশি বসিয়ে পবিত্রের পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকাও দেয়নি পবিত্র। অভিযোগ, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ অমিয় লোকজন নিয়ে পবিত্রের বাড়িতে হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় মদের ভাঁটি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায়ের সাথে যুক্ত ছিল অমিয়-সহ কয়েক জন। এ দিন তারা গ্রামে ঢুকে পবিত্রের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জোর করে তোলা আদায়ের চেষ্টা করে। বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা যথেচ্ছ গুলি এবং বোমা ছোড়ে। তাতে পবিত্রের বৌদি ও ভাই-সহ কয়েক জন গ্রামবাসী আহত হন। এতেই খেপে ওঠেন গ্রামের মানুষ। অনুপ এবং পরেশ মণ্ডল জনতার হাতে ধরা পড়ে যায়। শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। জখম দু’জনকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই অনুপ মারা যায়।

Advertisement

আলো নিভিয়ে পাচার, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা

পাচারকারীরা প্রত্যেক দিন রাতে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে গরু পাচার করছে, এই অভিযোগে এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা বাজারের পাঁচপোতা-গোবরডাঙা সড়কে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে পথ অবরোধ। পরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক ধরে রোজ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পাচারকারীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। ভোর রাতে বা পর দিন সকালে সংযোগ ফিরে আসছে। একে তো গরমে রাতে গরলদঘর্ম অবস্থায় ঘম ছুটেছে সকলের। তার উপরে অন্ধকারের মধ্যে চলাফেরা করতেও অসুবিধা হচ্ছে বাসিন্দাদের। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অবাধে গরু পাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মানুষ। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসাররা জানান, এলাকা দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের যে লাইন গিয়েছে, তা পাচারকারীরা দড়ি বা সাইকেলের চেন দিয় জোড়া লাগিয়ে শর্ট শার্কিট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে সেগুলি খুলে নিলে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসে। এ দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়। এরপরেই অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় মানুষজন।

বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি এবং সিপিএমের কয়েকশো নেতা-কর্মী। বুধবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ধামাখালি বাসস্ট্যান্ডে এক জনসভায় তাঁরা নতুন দলে যোগ দেন। ওই দলে রয়েছেন মনিপুর এবং জেলায়াখালি পঞ্চাযেতের প্রাক্তন প্রধান তথা সিপিএম নেতা হারানন্দ মণ্ডল এবং কৃষ্ণপদ হালদার। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি, সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, হাড়োয়ার বিধায়ক জুলফিকার আলি মোল্লা-সহ অন্য নেতারা। তৃণমূলের দাবি, তাঁরা শ’পাঁচেক সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই দুই নেতা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নমূলক কাজের শরিক হতেই তাঁদের দল পরিবর্তন। স্থানীয় সিপিএম এবং বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে অবশ্য দলত্যগীদের ‘সুবিধাবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দু’দলের নেতাদের দাবি।

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত দু’জন

ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই মোটরবাইক আরোহীর। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরের মল্লিকপুর সেতুর কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের উপর। মৃতদের নাম সৌমেন দাস (২৫), এবং মাধুর্য দাস (১৮)। সৌমেনের বাড়ি হরিপালের খামারচণ্ডীতে। দ্বিতীয় জন স্থানীয় আমিনপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা দুই বন্ধু। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীরামপুরের দিক থেকে ওই দু’জন বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন।

কেয়ার করি না। মাথায় হেলমেট নেই কারও। বৃষ্টিতে মাথা বাঁচাতে গিয়ে এক হাতে ধরা গাড়ির হাতল।
সব মিলিয়ে ঝুঁকি পুরোমাত্রায়। বুধবার বনগাঁয় ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।

জাল ফেলেছেন মৎস্যজীবীরা। কাকদ্বীপে শশাঙ্ক মণ্ডলের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন