টুকরো খবর

লোকসভা ভোটে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রায় তিরিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েও শেষমেশ লোকসভা আসনটি এসেছে তৃণমূলের দখলে। কিন্তু বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই ঘাটতি পুষিয়ে লড়তে হবে তৃণমূলকে। সে ব্যাপারে সতর্ক আছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০২:০১
Share:

লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট মুকুল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

প্রার্থীর পাশে নেতারা। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

লোকসভা ভোটে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রায় তিরিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েও শেষমেশ লোকসভা আসনটি এসেছে তৃণমূলের দখলে। কিন্তু বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই ঘাটতি পুষিয়ে লড়তে হবে তৃণমূলকে। সে ব্যাপারে সতর্ক আছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। চতুর্মুখী লড়াইয়ের চাপও আছে। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটে বসিরহাট দক্ষিণে ফল কেন খারাপ হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ তুলে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দলের সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়। উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসের সমর্থনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসিরহাট রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভা করেন মুকুলবাবু। বসিরহাটে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার জন্য কারা দায়ী, তা দেখার দরকার বলে জানান তিনি। পাশাপাশি কোন ওয়ার্ডে দল কত ভোট পেয়েছিল, তা নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেন মুকুলবাবু। দীপেন্দুকে বসিরহাটের ভূমিপুত্র বলে উল্লেখ করে তাঁকে বিপুল ভোটে জেতানোর জন্য কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেন মুকুলবাবু। টাকি সাংস্কৃতিক মঞ্চেও এ দিন কর্মিসভা করেছেন মুকুলবাবু। উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ ইদ্রিস আলি, নির্মল ঘোষ, রথীন ঘোষ-সহ অনেকে। সাংবাদিকদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। টাকি পুরসভা এক সিপিএম কাউন্সিলর-সহ দলের কয়েক জন নেতা-কর্মী এ দিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ভোটের আবহে গোলমালের আশঙ্কাও বাড়ছে এলাকায়। বসিরহাটের পুলিশকর্তাদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার।


কিশোরী আত্মঘাতী, ধৃত দুই পিসি

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা

নিজেদের বাড়ির বারান্দায় গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীর দেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার বৈচিডাঙা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অর্পিতা কীর্তনিয়া (১২)। সে স্থানীয় হেলেঞ্চা গালর্স হাইস্কুলে পড়ত। মেয়ের মৃত্যুর পরে মা অপর্ণাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে তিনি বাগদা থানায় মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন দুই ননদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে বকুল বিশ্বাস ও অঞ্জলি বালা ওরফে কণিকাকে। তাদের বৈচিডাঙা ও হেলেঞ্চা এলাকায় বিয়ে হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অপর্ণাদেবী তার এক ছেলেকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল অর্পিতা ও তার এক দিদি শিখা। অপর্ণাদেবীর স্বামী কর্মসূত্রে কাতারে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বকুল ও কণিকা প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে এসে নানা অজুহাতে অপর্ণাদেবীকে মারধর করত বলে অভিযোগ। অর্পিতা তার প্রতিবাদও করে কয়েকবার। বৃহস্পতিবার অপর্ণাদেবীর দুই ননদ বাড়িতে এসে তাঁকে না পেয়ে মেয়েকে গালমন্দ করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয় বলে অভিযোগ। অপমানিত কিশোরী বারান্দায় আড়ার সঙ্গে দড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

বিএলএলআরও-র মাথায় টাঙ্গির কোপ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

পারিবারিক জমিজমার দখল পেতে মরিয়া এক ব্যক্তি জয়নগরের ২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের উপরে টাঙ্গি নিয়ে চড়াও হলেন। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ জয়নগর স্টেশন চত্বরে এই ঘটনায় দুলাল নস্কর নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জখম সরকারি আধিকারিক বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায়ের চিকিৎসা করানো হয় নিমপীঠ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁর মাথায় ১২টি সেলাই পড়েছে। পুলিশ জানায়, দুলালের পারিবারিক কিছু জমি সরকারি ভাবে খাস ঘোষণা হয়েছে। জমি ফেরতের দাবিতে ওই ব্যক্তি মামলাও করেছেন। বিশ্বদীপবাবুর কাছে বেশ কয়েক বার নথিপত্র নিয়ে যায় দুলাল। বিশ্বদীপবাবু বলেন, “ওর ধারণা, আমি জমি ফেরত দিতে পারি। আগেও এ নিয়ে ঝগড়া করেছেন।”

সেতু তৈরি নিয়ে জটিলতা

হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপরে সেতু তৈরি নিয়ে সম্প্রতি জটিলতা তৈরি হয়েছে নামখানায়। ব্যবসায়ীদের সরে যেতে বলেছে প্রশাসন। কিন্তু তাঁরা আরও সময় চেয়ে পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে শুক্রবার কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিডিওকে স্মারকলিপি দিতে যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়।

ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বাঁশদ্রোণীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা গৌতম সাহা (৪৪)। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ মিলল প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে হুগলির খানাকুলের শাবলসিংহপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি খাল থেকে। পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে খালে পড়ে তিনি মারা যান। দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

বাঁ দিকে, লাড্ডুর চুড়ো হৃদয়পুরের একটি মণ্ডপে।
ডান দিকে, গাছের সুরক্ষার ভাবনা পুজোয়।
ছবি: সুদীপ ঘোষ ও সজল চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন