রাস্তার ধারে স্তূপাকারে রেখে দেওয়া হচ্ছে বালি, সিমেন্ট, স্টোনচিপসে্র মতো ইমারতি দ্রব্য। চলছে ব্যবসা।
প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু শুনছে কে? অনিয়মটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে!
রাস্তার ধারে স্তূপাকারে রেখে দেওয়া হচ্ছে বালি, সিমেন্ট, স্টোনচিপসে্র মতো ইমারতি দ্রব্য। চলছে ব্যবসা। সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটছে গাড়ি। ঢোলাহাট থেকে রামগঙ্গা পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দেখা মিলছে এই ছবি। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। জেলা পুলিশ কর্তাদের আশ্বাস, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ মহকুমার পাথরপ্রতিমা এবং ঢোলাহাট— এই দুই থানা এলাকায় এই সমস্যা বেশি। রাস্তা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। রামগঙ্গার বাসিন্দা দিব্যেন্দু ত্রিপাঠীর ক্ষোভ, ‘‘ব্যবসার কাজে নিয়মিত মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বাহিরকচ, উত্তরাবাদ, দেবীর চক, ভগবানপুর-সহ একাধিক এলাকায় রাস্তার উপর ইট, বালি ফেলে রাখা হয়। একটু অন্যমনস্ক হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অশোক গায়েন জানান, রাস্তার পাশে ইট, বালি, পাথর পড়ে থাকায় বাস চালাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
ঢোলাহাট থেকে রামগঙ্গা পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে নূরপুর-রামগঙ্গা রুটের বাস চলে। এ ছাড়াও, কলকাতা থেকে ভূতল পরিবহণ কয়েকটি বাস, ছোট গাড়ি, অটো, মোটরচালিত ভ্যান যাতায়াত করে ওই রাস্তা দিয়ে। রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্যে ফেলে রাখার কারণে রাস্তা ছোট হয়ে আসছে। ফলে দু’টি বাস উল্টো দিক থেকে মুখোমুখি চলে এলে পাশ দিয়ে যাওয়াই সমস্যার।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভোটের আগে রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের সেই সমস্যা শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’