সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী দু’দিন আগে পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি, এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার বিকেলে ই মেল করলেন পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯৮ সাল থেকে টানা কুড়ি বছর ধরে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর রয়েছেন সন্ময়বাবু। ছ’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্ময়বাবুর অভিযোগ, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২১ অক্টোবর পানিহাটি পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২২ অক্টোবর সোমবার, প্রশাসক হিসেবে ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকের পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা। কিন্তু তা এখনও হয়নি। সন্ময়বাবুর অভিযোগ, ‘‘চেয়ারম্যান তাঁর বাছাই করা কয়েক জন আধিকারিককে নিয়ে মঙ্গলবারও পুরসভার কাজ চালিয়েছেন। এমনকি কয়েক জন আধিকারিককে পুরনো তারিখে চেকে সই করতেও বাধ্য করা হয়েছে।’’
গত ৯ অক্টোবর রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্যের ১১টি পুরসভার পরিচালনার দায়িত্বে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। সেই মতো হাবড়া, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, ডালখোলা-সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি পুরসভায় প্রশাসক বসেছে। সন্ময়বাবু বলেন, ‘‘ই মেলের উত্তর না পেলে আবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। ফল না হলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব।’’
নিয়মমাফিক ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলামের প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার কথা। তিনি বলেন, ‘‘নিয়মমাফিক ২২ অক্টোবর আমি পুরসভায় গিয়ে কাগজ বুঝেছি। ছুটির
শেষে কাজে যোগ দেব।’’ চেয়ারম্যানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পুর চেয়ারম্যান তৃণমূলের স্বপন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মহকুমাশাসক দায়িত্ব নিলে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কাগজ বুঝিয়ে দিতে অফিসে গিয়েছিলাম। তখন কয়েক জন বিজয়া করতে গিয়েছিলেন।’’