প্রতীকী ছবি।
আয়ার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপ হাসপাতালে। মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনার পরে বনানী পান্ডা নামে ওই আয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তিলকচন্দ্রপুর গ্রামের বছর তিরিশের মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার অস্ত্রোপচারের পরে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সদ্যোজাতকে এসএনসিইউতে রাখা হয়। পাশাপাশি মায়ের চিকিৎসা চলছিল।
এ দিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ শিশু কান্নাকাটি করায় দুধ খাওয়াতে ওই আয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। দুধ খাইয়ে আয়া ফিরে আসেন। এরপরেই মা দেখেন, মেয়ে নেতিয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় শিশুটি।
আয়ার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ রটে যেতেই পরিবারে লোকজন হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
খবর পেয়ে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ওই শিশুর বাবা রূপন দাস পুলিশ ও হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, আয়ার গাফিলতিতে তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। প্রশিক্ষিত আয়া হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।
হাসপাতালে সুপার রাজর্ষি দাস বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে।’’
তবে বনানীর দাবি, ‘‘আমি প্রায় দশ বছর ধরে এই কাজ করছি। গাফিলতির অভিযোগ মিথ্যা।’’