স্কুলের সামনে বিকোচ্ছে সিগারেট

ওই স্কুলের মেন গেটের উল্টো দিকেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতর। নাবালকদের সিগারেট বিক্রি করার বিষয়টি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরে এলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও স্কুলের সামনে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ০২:৫৫
Share:

নজর-এড়িয়ে: বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের পাশে। নিজস্ব চিত্র

সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। তার পরেও স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট। টাকা দিলেই বিক্রেতারাও স্কুল পড়ুয়াদের দিয়ে দিচ্ছেন সিগারেট। এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে মহকুমা সদর কাকদ্বীপের প্রায় সব বড় স্কুলের সামনে।

Advertisement

দোকানদাররা যে পড়ুয়াদের সিগারেট বিক্রি করছেন, তা তাঁদের নজরে এসেছে বলে জানাচ্ছেন কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মাইতি। ওই স্কুলের পাশেই বিধান ময়দান। স্কুলের সময় সেখানে হাজির হয় অনেকগুলি চাকাওয়ালা গাড়ি। তাতে বিক্রি হয় ঝালমুড়ি, ফুচকা, আইসক্রিম-সহ নানা খাদ্যদ্রব্য। স্কুলে ঢোকার পথে বা টিফিনের সময় সেই সব দোকানে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে পড়ুয়ারা। ঝালমুড়ি, আইসক্রিম কেনার পাশাপাশি সেখান থেকে তারা সিগারেটও কিনছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘ওই সব দোকানদারদের সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আমাদের পক্ষে সব সময় নজরদারি চালানো যায় না। তাই পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখতে। আবারও বলব।’’

ওই স্কুলের মেন গেটের উল্টো দিকেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতর। নাবালকদের সিগারেট বিক্রি করার বিষয়টি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরে এলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও স্কুলের সামনে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। স্কুল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কেন সিগারেট রাখেন? কেনই বা নাবালকদের দিচ্ছেন? আমতা আমতা করে দোকানদাররা বললেন, ‘‘কই না তো! তা ছাড়া কেউ এ নিয়ে কোনও দিন কিছু বলেনি।’’

Advertisement

প্রায় একই ছবি সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের কাছেও। স্কুলের কাছেই জাতীয় সড়ক। ওই রাস্তা পার হলেই পড়বে চারটি দোকান। এর মধ্যে দু’টি চায়ের দোকান, দু’টি স্টেশনারি। প্রত্যেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিগারেট। দু’জন দোকানদারের দাবি, তাঁরা স্কুলের বাচ্চাদের সিগারেট বিক্রি করেন না। যদিও তাঁদের দাবির কোনও ভিত্তি নেই বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা বলেন, ‘‘এসব আটকানোর কোনও রাস্তা নেই। আমরা স্কুলে বাচ্চাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে স্কুলের কাছাকাছি দোকানগুলিতে হানাও দিই। কিন্তু বাইরের কারও সঙ্গে এ সব নিয়ে বলতে গেলেই ঝামেলা বাধে। এর আগেও তাই হয়েছে। তাই আর এগোই না।’’

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। খতিয়ে দেখা হবে, স্কুলের সামনে কোন কোন দোকান থেকে সিগারেট বিক্রি হয়। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন