বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাদুড়িয়ার গ্রাম

অভিযোগ, বিকেলের দিকে জাতীয় পতাকার পাশে বিজেপির পতাকা লাগানো হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সে সময়ে তৃণমূলের পক্ষে দলীয় পতাকা তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথমে হাতাহাতি বাধে।পরে দু’পক্ষই লাঠি, বাঁশ, দা, বল্লম নিয়ে মেনে পড়ে বলে অভিযোগ। বোমাবাজিও হয়। কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাত ভেঙেছে। কেউ কেউ বোমার স্‌প্লিন্টারে জখম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

জখম: চিকিৎসাধীন। নিজস্ব চিত্র

পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে বাদুড়িয়ার কাঁকড়াসুতি গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের অন্তত ১৫ জন। একজনকে পাঠানো হয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। বাকিরা বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামে র‌্যাফের টহল চলছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাঁকড়াসুতি গ্রামে একটি ক্লাবের কয়েকজন সদস্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। কথা ছিল, ক্লাবটিতে জাতীয় পতাকা তোলা হবে ১৪ অগস্ট, মধ্য রাতে। পরে ঠিক হয়, নিয়ম মতো পতাকা তোলা হবে ১৫ অগস্টই।

অভিযোগ, বিকেলের দিকে জাতীয় পতাকার পাশে বিজেপির পতাকা লাগানো হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সে সময়ে তৃণমূলের পক্ষে দলীয় পতাকা তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথমে হাতাহাতি বাধে।পরে দু’পক্ষই লাঠি, বাঁশ, দা, বল্লম নিয়ে মেনে পড়ে বলে অভিযোগ। বোমাবাজিও হয়। কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাত ভেঙেছে। কেউ কেউ বোমার স্‌প্লিন্টারে জখম।

Advertisement

এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি, এক সময়ে ওই ক্লাবের ছেলেরা সিপিএম ছিল। পরবর্তিতে তৃণমূল হয়। সম্প্রতি অমিত শাহের সভায় যাওয়ার পরে তারা সব বিজেপিতে যোগ দেয়।

এলাকায় ইছামতী নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করেও দু’পক্ষের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। ক্লাব দখলকে সামনে রেখে তা বড় আকার নেয়।

এ বিষয়ে বাদুড়িয়া বিধানসভার তৃণমূল নেতা তুষার সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপির কিছু লোক বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের একটি ক্লাব জোর করে দখলের চেষ্টা করে। গ্রামের মানুষ তা প্রতিরোধ করেছেন। আমাদের কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।’’ অন্য দিকে, বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক অজয় ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকার বহু মানুষ আমাদের সমর্থন করছেন। আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। তা মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। সে কারণেই বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন