শাসনে মেছোভেড়ির দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ

শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শাসনের খামার নাওবাদ এলাকায়। তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সাবির আলি, হাসেম আলি ও জহর আলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শাসন শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

ভাঙচুর: পুলিশের গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

মেছোভেড়ির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বোমা-গুলি চলল। পুলিশ গেলে তাদের উপরেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়ি।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শাসনের খামার নাওবাদ এলাকায়। তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সাবির আলি, হাসেম আলি ও জহর আলি। রবিবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মেছোভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, গুলি চালানো শাসনে নতুন ঘটনা নয়। বাম আমল থেকে মাঝে মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে শাসনে। বহু রক্তপাত, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের লোকজনই ভেড়ির দখল নেয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় যুবকেরা মাঠে বসে গল্প করছিলেন। সে সময়ে এক ব্যক্তি বাইকে করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, যুবকেরা ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন। এরপরেই ওই ব্যক্তি লোকজন নিয়ে এসে বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। অন্য পক্ষও পাল্টা জবাব দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ২০-৩০টি বোমা পড়েছে। ৭-৮ রাউন্ড গুলি চলেছে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তোলাবাজি, জমি বিক্রি ও ভেড়ির দখল নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল চলছিল। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, এ দিনের ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘শাসন এলাকায় নতুন করে মেছোভেড়ির দখল নিতে পিছন থেকে মদত দিয়ে বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’
অন্য দিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে শাসনে বোমাবাজি হয়েছে, গুলি চলেছে। আক্কান্ত হয়েছে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন