ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়

পদ নিয়ে জট, বাতিল নিয়োগ

শুরু করেও থমকে গেল ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম প্রয়োগে কিছু ভুল-ক্রুটি রয়ে যওয়ায় আপাতত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার ছিল ওই পদে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৬
Share:

শুরু করেও থমকে গেল ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম প্রয়োগে কিছু ভুল-ক্রুটি রয়ে যওয়ায় আপাতত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার ছিল ওই পদে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এ দিন বেশ কিছু আবেদনকারী এসেছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তাঁদের শুনতে হয়, নিয়োগ আপাতত থমকে গিয়েছে। উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায় জানান যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার কথা। এর ফলে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি বিভাগের জন্য ৩৫টি পদ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ইউজিসি-র নিয়ম মতো এক একটি বিভাগে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর,অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের বিন্যাস ১:২:৪ অনুপাত হওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি বিভাগে ওই নিয়ম মানতে গেলে অন্তত ৪২টি শিক্ষক-পদ তৈরি করা প্রয়োজন। ইউজিসি-র নিয়ম মেনেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধ সেধেছে রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া শিক্ষক পদের সংখ্যা, ৩৫টি। বিপত্তি সেখানেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য শমিতা সেন বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, যে ক’টি পদ পাওয়া গিয়েছে, তা দিয়েই প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে দেওয়া। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ শিক্ষক পদে সাময়িক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে তা বণ্টন করে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারলেই ভাল হত। বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের দু’টি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তা ঠিক করাও হয়েছিল।’’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আবেদন গ্রহণের পর ফের উল্টো সুর গাওয়ায় আবেদনকারীদের মধ্যেও ক্ষোভ জমেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন