বনগাঁয় বহু ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতেই পারল না কংগ্রেস

শেষবেলায় বনগাঁ পুরসভার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিল কংগ্রেস। যদিও ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে তারা। ৩, ১০, ১২, ২২, ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। কেন সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া গেল না? বনগাঁ শহর কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দ বলেন, “সব ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় দেওয়া যায়নি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০২:৫৯
Share:

মনোনয়ন দিতে এসে কংগ্রেস সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।—নিজস্ব চিত্র।

শেষবেলায় বনগাঁ পুরসভার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিল কংগ্রেস। যদিও ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে তারা। ৩, ১০, ১২, ২২, ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। কেন সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া গেল না? বনগাঁ শহর কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দ বলেন, “সব ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় দেওয়া যায়নি।”

Advertisement

বুধবার দুপুরে বনগাঁ শহর কংগ্রেস কার্যালয় থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল করে বনগাঁ মহকুমাশাসকের দফতরে আসেন প্রার্থীরা। সব থেকে বড় মিছিল এসেছে ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সাধন দাসের অনুগামীর সংখ্যাই ছিল বেশি। সাধনবাবু চার বারের কাউন্সিলর। তাঁর স্ত্রী ঝর্না দাসও ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই অবশ্য সাধনবাবু ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেছিলেন।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ সরকার গতবার নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটের আগে দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলীয় কার্যালয়ে এসে প্রার্থীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছিল সাধনবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণপদবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

Advertisement

এ দিন মিছিলে অবশ্য দেখা গিয়েছে কৃষ্ণপদবাবুকে। এ ছাড়াও ছিলেন বনগাঁ শহর কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক বিমল বসু, লোকসভার উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী কুন্তল মণ্ডল। ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নতুন মুখ ১৫ জন। সাধনবাবু ছাড়া অতীতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দেবব্রত চৌধরী। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন অসীম দত্ত। তাঁর ভাই অমিত দত্ত ওই ওয়ার্ডেই সিপিএম প্রার্থী। নতুন মুখের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সোমা রায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অন্তরা সেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গোপা ঘোষ।

অন্য দিকে, গোবরডাঙা পুরসভার ১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ১১টিতে। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে দল প্রার্থী দিয়েছে ১৭টি আসনে।

কেন সব আসনে প্রার্থী দেওয়া গেল না? জেলা কংগ্রেস সভাপতি (গ্রামীণ) অমিত মজুমদার বলেন, “সাংগঠনিক দুর্বলতার পাশাপাশি শাসক দলের নীরব সন্ত্রাসের কারণে প্রার্থী সব ওয়ার্ডে দেওয়া সম্ভব হয়নি।” জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার দলের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন কাউকে সব জায়গা থেকে জোগাড় করা যায়নি। বনগাঁয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে পাশের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বছর তরুণী মেয়ে অনামিকা মৃধাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীটির ভোটে দাঁড়ানোর বয়স না হওয়ায় তাঁকে দাঁড় করানো যায়নি। ওই ওয়ার্ডে অন্য প্রার্থীও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন