Mamata Banerjee

জয়নগরে খুনে ‘ভাড়াটে খুনি,’ দাবি মমতার

৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। দু’টি বাইকে ৬ দুষ্কৃতী এসে কাছ থেকে গুলি করে খুন করে সাইফুদ্দিনকে।

Advertisement

সমীরণ দাস 

জয়নগর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৫
Share:

জয়নগরের বহড়ুর জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের পিছনে ছিল ‘ভাড়াটে খুনির হাত’ ছিল বলে মঙ্গলবার বহড়ুর সভায় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাড়াটে খুনি রুখতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

Advertisement

১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। দু’টি বাইকে ৬ দুষ্কৃতী এসে কাছ থেকে গুলি করে খুন করে সাইফুদ্দিনকে। পালানোর সময়ে ধরা পড়ে যায় দু’জন। এক জনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে। তদন্তে নেমে খুনের ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, সিপিএমের লোকজনই খুন করে সাইফুদ্দিনকে। ওই ঘটনার পরে দলুয়াখাকি গ্রামে বেশ কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেখানে অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে।

পুলিশের হাতে ধরা পড়া আনিসুর রহমান লস্কর সহ বেশ কয়েক জন ‘সিপিএমের ক্যাডার’ বলে দাবি করে তৃণমূল। সিপিএম অবশ্য খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী বলে দাবি করে। একই অভিযোগ করে বিজেপি, আইএসএফও।

Advertisement

মঙ্গলবার জয়নগরে এসে মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ভাড়াটে খুনির তত্ত্ব সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখানেই কয়েক দিন আগে কয়েকটা খুন হয়ে গিয়েছে। ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলব, ভাড়াটে খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’’ এরপরেই বিধায়কদের দিকে তাকিয়ে জানতে চান, ক’জন খুন হয়েছিল। বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার জানান, এক জন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক জনকে খুন করতে ১৩-১৫ লক্ষ টাকায় ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছে। এত টাকা ওরা পাচ্ছে কোথায়?’’

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পরে এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘সম্প্রতি সন্দেশখালি সহ চারদিকে যা হচ্ছে, তা দেখেও কি বোঝা যাচ্ছে না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কী করতে পারে? পুলিশ মন্ত্রী এই সব বলে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি অনুষ্ঠানের নামে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে দলের অনুষ্ঠান করেছেন উনি। তার হিসেব কে দেবে? দলুয়াখাকিতে ঘর ছাড়া পরিবারগুলির পাশে গেলেন না কেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন