Corona

বেপরোয়া এখনও অনেকেই

মাস্ক না থাকায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১ ০৭:২৬
Share:

শাসন: লাঠি হাতে পথে নামলেন ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়, কাশীপুর থানার ওসি সমরেশ ঘোষ।

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে বার বার মাস্ক পরার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এখনও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে মাস্ক নিয়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। রাস্তা ঘাটে মাস্কহীন মুখ চোখে পরছে অনেক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের তরফে মাস্ক না পরলে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রবিবার দুই জেলার নানা জায়গায় ঘুরেও জরিমানার ছবি চোখে পড়েনি। তবে প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পরেছে অনেক জায়গাতেই। মাস্ক না পরায় গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনায় পুলিশকে পথে নেমে ধরপাকড় করতে তেমন দেখা যায়নি। হাবড়া শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়। যারা মাস্ক ছাড়া পথে বেরিয়েছিলেন তাঁদের মাস্ক দেওয়া হয়। বসিরহাট শহরে পুলিশ মানুষকে মাস্ক পরতে আবেদন করেছেন। এ দিন বসিরহাট, বনগাঁ, হাবড়া, বারাসত, ব্যারাকপুর শহরে অনেকেই মাস্ক পরে পথে বেরিয়েছিলেন। বাজার-হাটে অবশ্য শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় ছিল না। মাস্ক অনেকের থুতনিতে ছিল।

বনগাঁ শহরে দেখা গেল মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। তবে বাজারগুলিতে গাদাগাদি ভিড়। বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, “সরকারি নির্দেশ পেয়েছি। রবিবার থেকে পুলিশ পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। সোমবার থেকে জোর কদমে অভিযান চলবে।”

Advertisement

বসিরহাট শহরে বেশিরভাগ মানুষই এ দিন মাস্ক পরে পথে বেরিয়েছিলেন। তবে অনেকেরই মাস্ক থুতনিতে ঝুলতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ধরপাকড় করতে দেখা যায়নি।

বরং মানুষের কাছে মাস্ক পরতে আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বসিরহাট মহকুমার গ্রামীণ এলাকার অবস্থা অবশ্য ভয়াবহ। হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হেমনগর-সহ বিভিন্ন থানা এলাকার বাজারে এবং রাস্তায় এখনও অনেক মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন।

হাসনাবাদ থানায় বায়লানি বাজার, হিঙ্গলগঞ্জ থানার হিঙ্গলগঞ্জ বাজার, হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জ বাজারে এখনও বহু ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করেন না। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ি বলেন, “আমরা বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছি জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন করতে। পুলিশকে নিয়ে পথে নামার কথাও ভাবা হচ্ছে।”

হাসনাবাদ থানার বায়লানি গ্রামে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। মাঠে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই মাঠে বসে খেলা দেখেন।

গত কয়েক দিন ধরেই বিধি ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার পুলিশ। মাস্ক না পরা, যত্রতত্র থুতু ফেলার জন্য ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার বিধি ভেঙে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করায় প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গত কয়েক দিন ধরেই ক্যানিংয়ের বিভিন্ন প্রান্তে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান চাসাচ্ছে পুলিশ। মাস্ক না থাকলে কড়া ব্যবস্থাও নিচ্ছে। কিন্তু এখনই জরিমানার পথে হাঁটেনি পুলিশ। রবিবারও প্রশাসনের তরফ থেকে ক্যানিং, বাসন্তী ও গোসাবার বিভিন্ন বাজার এলাকায় মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।

এ দিন সকালে থেকে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলে। পথচারি ও দোকানিদের সতর্ক করা হয়। মাস্ক না থাকায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে এখনও জরিমানা করা শুরু হয়নি বলেই জানান এক আধিকারিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন