উদ্যোগ: মাইকে প্রচার করছেন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক দিনে ক্যানিং ১ ব্লক-সহ গোটা ক্যানিং মহকুমায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়েনি। দোকান-বাজারে মানুষ ঘুরছেন বিনা মাস্কেই। এর ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগী হয়েছে ক্যানিং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পয়লা বৈশাখের দিন ক্যানিং বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ী ও আগত ক্রেতাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান সমিতির সদস্যরা। পাশাপাশি, এ দিন তাঁরা করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তাও দেন। বাজারে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না বলে সমিতির তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় সকলকে।
এক বছর আগে এই সময়ে দেশ জুড়ে দীর্ঘ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এক সময়ে ক্যানিং এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ক্যানিং বাজার এলাকা বেশ কিছু দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলন ব্যবসায়ীরা। সেই পরিস্থিতি রুখতেই এই উদ্যোগ বলে জানালেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, কুলতলি, বারুইপুর ও জয়নগর ব্লকের বহু মানুষও প্রতিদিন ক্যানিং বাজারে আসেন কেনাবেচা করতে। সতর্ক না হলে এখান থেকে অনেকে নতুন করে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির সম্পাদক হরিনারায়ণ খাঁড়া বলেন, ‘‘যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে মাস্ক না পরলে বিপদ বাড়বে। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের জন্যই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে সমিতি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্তের কথা ভাববে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহদেব রায় বলেন, ‘‘সংক্রমণ আরও বাড়লে লকডাউন হতে পারে। ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন। তাই এই নির্দেশ।’’
সমিতির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। ক্যানিং বাজারের ব্যবসায়ী সুধাময় হালদার, নিরাপদ সাহারা বলেন, ‘‘টানা লকডাউনের ফলে রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হোক, সেটা চাই না। সমিতির এই সিদ্ধান্ত যথার্থ। আমরা মাস্ক ব্যবহার করছি, ক্রেতাদেরও বলছি মাস্ক পরতে।