Coronavirus in West Bengal

রোগী কমছে সেফ হোমে, বন্ধ করার ভাবনা

গত একমাস ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় করোনা আক্রান্তের হার অনেকটাই কম। ফলে সেফ হোমগুলিতে রোগীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সেফ হোমগুলিতেও এই মুহূর্তে চাপ কম। উপসর্গহীন অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী এখন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। বাড়িতেই তাঁরা নিভৃতবাসে থাকতে পছন্দ করছেন। এই মুহূর্তে সেফ হোমগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে কিছু হোম বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। করোনা অতিমারিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় কোভিড হাসপাতালের পাশাপাশি চালু করা হয়েছিল সেফ হোম। প্রথম থেকেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেখানে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। গত একমাস ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় করোনা আক্রান্তের হার অনেকটাই কম। ফলে সেফ হোমগুলিতে রোগীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ৮টি সেফ হোম রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি কেএমসি এলাকায়, আনন্দপুর ও প্রতিদিন সেফ হোম। বাকি ছ’টি সেফ হোম রয়েছে বারুইপুরে ৩টি, ক্যানিংয়ে ১টি, আলিপুর সদর সাব ডিভিশনের অধীনে আছে ২টি। ক্যানিং ২ ব্লকের সেফ হোম ৮৩ বেডের। বর্তমানে সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ জন। ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি সেফ হোম ৫৩ বেডের। বর্তমানে ওই সেখানে ৬ জন আছেন। আনন্দপুর সেফ হোমে বর্তমানে ৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন। প্রতিদিন সেফ হোমে ৭ জন আছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ সেফ হোমে রোগী নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সেফ হোম বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেফ হোমগুলি চালাতে গিয়ে সেখানে অতিরিক্ত চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিযুক্ত করতে হয়েছে। যে কারণে হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অন্যান্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তা ছাড়া, সেফ হোমগুলি চালানোর জন্য খরচও হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, সেফ হোমগুলিতে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক কম। বেশ কিছু হোম বন্ধ করতে হতে পারে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন