দেবব্রত মাইতি
অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক সেনা জওয়ানের। উত্তরাখন্ডের দেহরাদুনে কর্মরত ছিলেন সাগরের দক্ষিণ হারাধনপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত মাইতি (৩৪) নামে ওই যুবক। রবিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে তাঁর দেহ আসে। সরকারি নিয়ম মেনেই গঙ্গাসাগর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে ওই যুবক সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রী এবং বছর দশেকের এক ছেলে রয়েছে। তাঁরা হাওড়ায় থাকেন। ছেলেটি সেখানকার একটি স্কুলে পড়ে। দেবব্রতর মা মারা যান কয়েক বছর আগে। চার বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বছর ছিয়াত্তরের বৃদ্ধ বাবা প্রভাত মাইতি দক্ষিণ হারাধনপুরেই থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে কর্মরত অবস্থায় একবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। তারপর নিউমোনিয়ায় ভুগতে শুরু করেন। মাস দুয়েক আগে শেষবার সাগরের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। ফের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে ছুটি বাতিল হয়। এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে সাগরের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুসংবাদ আসে। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুদিন সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। লকডাউনের জেরে উড়ান বন্ধ থাকায় দেহরাদুন থেকে গাড়িতে করে দেহ আসে সাগরের গ্রামে। এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রামে পৌঁছয় শববাহী গাড়ি। মৃত সেনা জওয়ানের বৃদ্ধ বাবা জানান, ছেলে চাকরির টাকা জমিয়ে পাকা বাড়ি তৈরি করছিল। বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে সবাই মিলে সেখানেই থাকার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ছেলের অকালমৃত্যু সব শেষ করে দিল।