প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকার বাবার মারে মাথা ফেটেছিল বছর তেইশের যুবকের। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। মাথায় কয়েকটি সেলাইও পড়ে।
খবর পেয়ে প্রেমিকা পৌঁছে যান হাসপাতালে। সঙ্গে শাঁখা-সিঁদুর। নিজের রক্তাক্ত শরীর থেকে রক্ত নিয়ে প্রেমিকার সিঁথিতে পরিয়ে দেন তিনি।
বনগাঁ শহরে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকা। দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু প্রেমে সায় ছিল না মেয়ের বাড়ির। মঙ্গলবার প্রেমিকাকে নিয়েই ওই যুবক হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন এক আত্মীয়ার বাড়িতে। মেয়েটিও জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরতে চান না।
এ দিকে, মারধরের ঘটনায় মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবকের পরিবার। অপহরণের হুমকি, মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছে তরুণীর পরিবারও। পুলিশ দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তবে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাপ্তবয়স্ক কোনও মহিলা নিজের ইচ্ছায় কারও সঙ্গে থাকতে চাইলে আইনের কী করার আছে, কে জানে!’’
মঙ্গলবার যুবকের আত্মীয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, প্রেমিকাকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া সারছেন। বললেন, ‘‘আমরা একে অন্যকে ছাড়া বাঁচব না।’’
তরুণীর মাথায় ঘোমটা। সিঁথিতে চওড়া করে টানা সিঁদুর। বছর একুশের মেয়েটির কথায়, ‘‘সোমবার দুপুরে বাবা ওকে মারধর করছিল। আমি ঠেকাতে গেলে ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে বাড়ি থেকে সোজা বেরিয়ে হাসপাতালে চলে যাই।’’
ছেলের মায়ের কথায়, ‘‘সম্প্রতি মেয়েটি পালিয়ে আমার মেয়ের বাড়িতে চলে এসেছিল। আমরাই ফোন করে মেয়ের বাড়ির লোকজনকে ডেকে পাঠাই। আলোচনায় সব মিটে গিয়েছিল। মেয়ে বাড়ি ফেরে। কিন্তু তারপরেও আমার ছেলেকে মারধর করা হল।’’
অন্য দিকে, মেয়ের বাবার অভিযোগ, ওই যুবক তাঁর মেয়েকে কটূক্তি করত। অপহরণের হুমকি দিত। ওই যুবক তাঁর স্ত্রীকে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ করেছে।