Dam

নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল গ্রাম  

নষ্ট হচ্ছে চাষবাস। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গরু-ছাগলের খাবার নষ্ট হয়েছে। ঘর ছেড়ে কিছু পরিবার উঁচু রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছে। রাতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

জোয়ারের সময় এখান থেকে জল ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। ছবি: দিলীপ নস্কর

ফের নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল এলাকা। সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার টুকরো গোপালনগর গ্রামের কাছে সোলেমারি নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। প্লাবিত হয় গ্রাম।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে আমপানের জেরে পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোপালনগর পঞ্চায়েতে গোপালনগর ও পাশের টুকরো গোপালনগর গ্রামের কাছে প্রায় এক কিলোমিটার নদীবাঁধ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। নোনা জলে প্লাবিত হয়েছিল সারা এলাকা। নদীবাঁধের কাছে সমস্ত ঘরবাড়ি, মাছের পুকুর, চাষের জমি নোনা জলে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময় ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এরপরে পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রীও। পরেই কটালের জল আটকাতে সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত থেকে তড়িঘড়ি মাটি ফেলে বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু পাকাপাকি বাঁধ না হওয়ায় পূর্ণিমার কটালে ফের টুকরো গোপালনগর গ্রামের কাছে স্লুইস গেট ও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি কটালে এলাকা নোনা জলে প্লাবিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে চাষবাস। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গরু-ছাগলের খাবার নষ্ট হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা অশোক মাকুর জানান, পূর্ণিমার ভরা কটালের জেরে সোমবার রাতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে শুরু করেছে এলাকা। অনেকের বাড়িতে হাঁটু সমান জল ঢুকে গিয়েছে। ঘর ছেড়ে কিছু পরিবার উঁচু রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছে। রাতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসী। সমস্ত বিষয়টি পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ রাজ্জাক বলেন, ‘‘বাঁধ ও স্লুইস গেট ভেঙে জল ঢোকার বিষয়ে শুনেছি। ওই বাঁধটি আরও উঁচু করে তৈরি করতে হবে। তা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। জল নেমে গেলে খুব শীঘ্রই বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করা হবে। নোনা জল একাধিকবার ঢুকে যাওয়ায় পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে ওই গ্রামে শীঘ্রই একটি নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

এ বিষয়ে কাকদ্বীপ সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কল্যাণ দে বলেন, ‘‘এলাকা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়নি। স্লুইস গেট ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন