এই পথই দখল। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি জমি দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অভিযোগ, সেই জমিই আবার হাত বদল করা হচ্ছে চড়া দামে। কাগজপত্রের প্রশ্ন নেই। মুখের কথা চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা।
মথুরাপুর ১ ব্লকের ঘোড়াদল বাজার -লাগোয়া বহু সরকারি জায়গা দেদার দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ করেও কিছু করতে পারছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিডিও মুজিবর রহমান বলেন, ‘‘জবরদখল বন্ধ করতে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে একাধিকবার সভা ডেকেছি। তাতেও আটকানো যাচ্ছে না। বিষয়টি ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে নজর রাখতে বলেছি।’’
মথুরাপুর-মাদার পোল রোডের পাশেই ঘোড়াদল বাজারটিতে শনি-মঙ্গলবার সকালে হাট বসে। তা ছাড়া, প্রায় পাঁচ বিঘা জমি জুড়ে প্রতি দিন সকাল-সন্ধ্যায় বাজার বসে। এই বাজারের পাশেই সরকারি জমি ও পাকা রাস্তা আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই জমি ফাঁকা পড়ে। যা গত কয়েক বছর ধরে দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই জমি দখল করার পরে চড়া দামে হাত বদল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এ দিকে, দখল বেড়ে চলায় পাকা রাস্তাটি সরু হচ্ছে। গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে হাটের দিন রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। যানজটে আটকে থাকেন যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিতোষ প্রামাণিক, হাটের দোকানি সমর হালদারদের বলেন, ‘‘আমরা ৫০-৬০ বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছি। কোনও দিন এমন ভাবে জমি দখল হতে দেখিনি। কিন্তু এখন প্রায়ই জমি দখল হয়ে যায়।’’ প্রশাসনের সবই জানা। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এখন দোকান ঘর মেরামত করতে গেলে বা নতুন কোনও দোকান ঘর নিতে গেলেও চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় কিছু লোকজন এসে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করছে। এই সব প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান?
বাজারটি লক্ষ্মীনারায়ণপুর দক্ষিণ পঞ্চায়েতের অধীনে পড়ছে। উপপ্রধান সহদেব হালদার বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’ উপপ্রধান জানান, বাজারে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। জবরদখল বা তাকে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।