জ্যোতি বৈরাগী।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মথুরাপুর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জ্যোতি বৈরাগীর (১৬)। মৃতার বাড়ি মথুরাপুর ১ ব্লকের জলঘাটা গ্রামে। মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী জানায় তার মাথা ব্যথা করছে এবং জ্বর হয়েছে। তখন এলাকার এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জ্বর কমেনি। এর পর ২৭ জুলাই স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রক্ত পরীক্ষার পরে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়ে। তারপর তাকে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’দিন ভর্তি থাকার পরেও শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে ফের ‘রেফার’ করেন। তারপর তাকে পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন আইসিইউতে ভর্তি থাকার পরে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ছাত্রীর দেহ বাড়িতে আসে। মা তন্দ্রাদেবী ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। মৃতার বাবা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক তারাচাঁদ বৈরাগীর ক্ষোভ, ‘‘বাঙ্গুর হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হলে মেয়ের এই পরিণতি হত না।’’ বাসিন্দাদের দাবি, জলঘাটা গ্রামের এক বধূর রক্তপরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে। তিনি মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। এ দিন আজ স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল ওই গ্রামে যায়। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, দিন কয়েক আগে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে গ্রামে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। স্বাস্থ্য শিবির করা হোক। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। শিবির করা হবে।’’