দিনের পর দিন অনিয়মিত ভাবে কাজে আসায় শো’কজ করা হল কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক চক্ষু বিশেষজ্ঞকে।
২০১৫ সালের শেষ দিকে হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকেই নানা বিভাগের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তার মধ্যে রয়েছে চক্ষু বিভাগও। সেই বিভাগের চিকিৎসক শর্বরী সাহা কী ভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে গরহাজির থাকে, তা নিয়ে রোগীদের পাশাপাশি অন্য চিকিৎসকদের ক্ষোভও সামনে আসছিল। সেই কারণে দিন কয়েক আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শর্বরীদেবীকে শো’কজ করেন। আপাতত তাঁকে ‘ডিউটি’ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার রাজর্ষি দাস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যভবনের বলে দেওয়া নিয়ম সব জায়গাতেই এক। তা মানতে হবে হাসপাতালের সব চিকিৎসককেই। তা না হলে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালানো বা রোগীদের পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া যাবে না।’’
শর্বরীদেবী কলকাতার গল্ফ গ্রিনের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ‘‘হাসপাতালের ওই বিভাগ নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে। আমার পরিবারের এক জন অসুস্থ থাকায় সমস্যায় র য়েছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’’হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের ৮ ঘণ্টা করে ৬ দিন ‘ডিউটি’ দেওয়া নিয়ম। আর রবিবারগুলিতে আসতে হয় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। কিন্তু মাসসাতেক ধরে তিনি সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে আসছিলেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে অন্য চিকিৎসকেরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁদের ‘রোস্টার’ তৈরি নিয়েও গোলমাল হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শর্বরীদেবীকে একাধিকবার এ নিয়ে সতর্ক করলেও তিনি গা করেননি বলে অভিযোগ। অথচ, তিনি ছুটি নেননি, বদলিরও আবেদন করেননি।
শুরুতে ওই বিভাগে চার জন চিকিৎসক ছিলেন। সম্প্রতি এক জন পদত্যাগপত্র পাঠান। তিন জনের মধ্যে শর্বরীদেবী এবং আর এক চিকিৎসক অস্ত্রোপচার প্রায় করেন না বললেই চলে। বর্তমানে চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চলছে কার্যত একজনের ভরসায়। ফলে, বেশিরভাগ দিন রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।