Ration Distribution Case

বনগাঁয় একাধিক আটা এবং চালকলে হানা দিল ইডি! রেশনকাণ্ডে যোগ খতিয়ে দেখতে জেরা মালিকদেরও

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় এ বার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর একাধিক চাল এবং আটাকলে হানা দিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। বনগাঁ শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৩
Share:

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে বনগাঁয় ইডি অভিযান। —নিজস্ব চিত্র।

এ বার বনগাঁর বিভিন্ন চাল এবং আটাকলে হানা দিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তেই এই অভিযান। শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার নানা প্রান্তে অভিযান চালিয়েছে ইডি। সকালে কালুপুরের রাধাকৃষ্ণ আটাকল এবং রাধাকৃষ্ণ চালকলে যান তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট চালকল এবং আটাকলের মালিক মন্টু সাহা এবং কালীদাস সাহা। তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

Advertisement

শনিবার বনগাঁ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং নদিয়ার রানাঘাটেও ইডির পৃথক দল গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। কী ভাবে রেশনের আটা বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চলে যেত, এ নিয়ে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কালীদাস সাহা বা মন্টু সাহার মতো আটা এবং চালকলের মালিকদের সঙ্গে রেশনকাণ্ডের যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা অধুনা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইডি সূত্রে খবর, রাধাকৃষ্ণ আটাকলের বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মালিকদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের। গত সপ্তাহে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীকে। যদিও এই গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি করেন ধৃত মন্ত্রী। তিনি আঙুল তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকেও।

শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে ইডি হেফাজতে থাকা মন্ত্রী আবারও বলেন, “আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপি আমায় ফাঁসিয়েছে। মমতাদি-অভিষেক সব জানে।” তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কি না এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।” খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন বলেও দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রসঙ্গত, গ্রেফতার হওয়ার পরেও জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন যে, বিজেপি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। সেই অভিযোগ গ্রেফতারির এক সপ্তাহ পরেও বহাল রেখেছেন মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন