ইলেকট্রিক মিস্ত্রির এই কেরামতি!

মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করার পরে চোখ কপালে উঠেছে এলাকার লোকজনের। কয়েক মাস ধরে জঙ্গলের ভিততে অস্ত্র তৈরি করছিল সুদাম, জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

অশোকনগর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

ধৃত সুদাম মজুমদার। (ডান দিকে) মানিক ঘোষ।

কখনও ভ্যান চালাত, কখনও দিনমজুরি করত। কিছু দিন ধরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে পরিচিতি তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

আগে বার কয়েক মদ, মাদক বিক্রির অভিযোগে ধরা পড়লেও গাঁয়ের লোকে জানত, ইদানীং শুধরে গিয়েছে পুমলিয়ার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের লোকটা। সারা দিন জঙ্গলের ভিতরে বসে ঝালাইয়ের কাজ করে সুদাম মজুমদার।

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করার পরে চোখ কপালে উঠেছে এলাকার লোকজনের। কয়েক মাস ধরে জঙ্গলের ভিততে অস্ত্র তৈরি করছিল সুদাম, জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই এলাকা থেকে আধ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি। টিনের চাল দেওয়া ইটের বাড়ি। মা-স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকত সুদাম। ঘরদোরে অভাবের ছাপ। বৃদ্ধা মা পুতুলদেবী বলেন, ‘‘ছেলে তো ইলেকট্রিকের কাজ করে বলেই জানতাম। মেশিন বানাত, তা তো বুঝে পারিনি।’’

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অশোকনগর ও সংলগ্ন এলাকার দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করত সুদাম। ২০০০-১০০০০ হাজার টাকায় অস্ত্র বিক্রি করত সে, জেরায় সুদাম জানিয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। একেকটা পাইপগান বানাতে খরচ পড়ত ৭০০-৮০০ টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন