এ ভাবেই যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছরেও বাণীকণ্ঠ খালের অসম্পূর্ণ অংশের কাজ হল না। ফলে এ বছরেও বানভাসি মধ্যমগ্রাম পুরসভার শৈলেশ নগর, সারদাপল্লি, পাটুলি-শিবতলা, মিলনপল্লির নিচু মাঠ, শহীদ ক্ষুদিরাম পল্লি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
জলের নীচে চলে গিয়েছে রাস্তা, নর্দমা, মাঠ। পচা জলে দ্বীপের মতো জেগে বাড়িগুলি। জল কোথাও এক কোমর, কোথাও বা বুক পর্যন্ত। তা মাড়িয়েই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ঘরে ঢোকেন বাসিন্দারা। অনেকে আবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়ি বা ভাড়ায় চলে গিয়েছেন। জল জমার এই চিত্র থাকে বছরের চার-পাঁচ মাস।
পূর্ববর্তী বোর্ডের দাবি ছিল, বাণীকণ্ঠ খালের অসম্পূর্ণ ৩.৮ কিলোমিটারের জন্য নিকাশি-জল বাণীকণ্ঠ হয়ে বিদ্যেধরীতে পড়ছে না। তাই সমস্যা। চণ্ডিগড়-রোহাণ্ডা পঞ্চায়েতের অধীনে বাণীকণ্ঠের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ করতে প্রায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, অধিগ্রহণের বিষয়ে এখনও কোনও কথাই হয়নি।
আগের বোর্ডের দায়িত্বেও ছিল তৃণমূল। তখন পুরপ্রধান রথীন ঘোষের বিকল্প প্রস্তাব ছিল, কাঁচা নালা কেটে বাঁশপোল ও দিকবেরিয়ার মাঝামাঝি বাণীকণ্ঠের প্রথম পর্যায়ে ফেলা হবে। পঞ্চায়েতের মাছের ভেড়ির টানেল পরিষ্কার করে ওই পথে জল বেরোবে কৃষ্ণনগর-মদনপুর-রোহান্ডা অংশে। নাল্টের ব্রিজের নীচ দিয়ে বাণীকণ্ঠ পড়বে বিদ্যেধরী খালে।
এখন রথীনবাবু বলছেন, ‘‘বিকল্প কাজ হয়েছিল। নাল্টের ব্রিজের নীচে পলি জমায় জল বেরোতে বাধা পাচ্ছে। জোর করে জমি নেওয়া আমাদের নীতির বিরুদ্ধে। অন্য বিকল্প হিসেবে নীচু এলাকার জল বের করতে পাম্পিং স্টেশনের কথাও ভাবা হচ্ছে।’’ চণ্ডীগড়-রোহান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালতী ঘোষ জানাচ্ছেন, এর জেরে মধ্যমগ্রাম ছাড়াও রোহান্ডা পঞ্চায়েত এলাকাতেও সমস্ত চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে।