লেকটাউনেও গ্রেফতার আরও এক ভুয়ো ডাক্তার

তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্য জুড়ে ভুয়ো চিকিৎসকদের ধরপাকড় চলছে। বাদ গেল না বিধাননগরও। বুধবার রাতে লেকটাউন থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লেকটাউনের এস কে দেব রোডে ক্রিটিক্যাল ক্যান্সার ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক চালাতেন ওই ব্যক্তি। তিনি চিকিৎসক হিসেবেই পরিচয় দিতেন। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ক্লিনিকে যায়। তাঁর কাছে শংসাপত্র দেখতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু অভিযোগ, অরোদীপ প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেননি।

তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

সরকার পক্ষের তরফে আইনজীবী সাবির আলি জানান, অরদীপের বিরুদ্ধে ভুয়ো চিকিৎসক সেজে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও শংসাপত্র দেখাতে পারেননি অরোদীপ। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন করে সরকার পক্ষ।

অরোদীপের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা জামিনের আবেদন করে বলেন, ‘‘আমার মক্কেল চিকিৎসক নন। তিনি নিজে কোনও দিন সেই দাবি করেননি। তিনি গবেষক।

আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যান্সার নিয়ে একটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সেই তথ্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’’ অরদীপের আইনজীবী আরও জানান, গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ তাঁর মক্কেলের কাজের প্রক্রিয়ার একটি অংশ। প্রেসক্রিপশনেও তারই উল্লেখ রয়েছে।

দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল ধৃতকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন