মাসখানেক আগেই শহরের রেস্তরাঁগুলিতে হানা দিয়েছিলেন পুরকর্তারা। তখন কোথাও পচা, কোথাওবা ছাতা প়ড়া মাংস মিলেছিল। পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মিত নজরদারি এখনও রয়েছে। তার পরেও ফের পচা মাংস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে তুলকালাম বাঁধল ব্যারাকপুরের একটি রেস্তরাঁয়।
প্রথমে বচসা, তার পরে হাতাহাতি শেষ পর্যন্ত নোনাচন্দনপুকুর লাগোয়ো রেস্তরাঁটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ক্ষোভ সামলাতে রেস্তরাঁ মালিককে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পচা মুরগির মাংস এবং ভাগাড় বিতর্কের পরেও রেস্তরাঁগুলিতে পচা মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ওই রেস্তরাঁ থেকে চিকেনের দু’রকম কাবাব কিনে বাড়ি নিয়ে যান এক যুবক। কিছুক্ষণ পরে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফের রেস্তরাঁতে আসেন ওই যুবক। তাঁদের অভিযোগ, কাবাবের মাংস পচা। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই কাবাবও সঙ্গে করে এনেছিলেন তাঁরা। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ ওই কাবাব পরীক্ষা করে জানান, মাংস পচা নয়। তার পরেই ওই যুবকদের সঙ্গে রেস্তরাঁর লোকেদের বচসা শুরু হয়।
বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তার পরেই রেস্তরাঁয় ভিড় জমে যায়। তখনও রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ নিজেদের স্বপক্ষে সওয়াল করেই চলেছেন। ভিড়ের মধ্যে থেকে কয়েকজন ওই কাবাব পরীক্ষা করে জানান, তা খাওয়ার অযোগ্য। তার পরে আগুনে ঘি পড়ে। জনতা মারমুখী হয়ে রেস্তরাঁয় ভাঙচুর শুরু করে। মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।
খবর পেয়ে টিটাগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তার পরেই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে রেস্তরাঁয় পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। জনতা তখনও মারমুখী। উত্তম বলেন, যদি কারওর কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে তাঁরা তা থানায় জানান। তিনিই পুলিশকে বলেন রেস্তরাঁ মালিক এবং ওই বিতর্কিত কাবাবগুলি থানায় নিয়ে যেতে। পুলিশ তাই করে। তবে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তাই, মাঝ রাতে পুলিশ ওই রেস্তরাঁ মালিককে ছেড়ে দেয়।