বেহাল: মগরাহাট স্টেশন। ইনসেটে, ফাটল ধরেছে সিঁড়িতে। নিজস্ব চিত্র
সেতুর নীচের চাঙড় খসে পড়ে জং ধরা লোহা বেরিয়ে গিয়েছে। কংক্রিটের স্ল্যাবে ফাটল ধরেছে। একসঙ্গে অনেক যাত্রী উঠলে কেঁপে ওঠে ফুট-ওভারব্রিজ। এমনকী নীচ দিয়ে ট্রেন গেলেও সেটি নড়বড় করে।
মগরাহাট স্টেশনের ফুট-ওভারব্রিজের এই অবস্থায় আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখায় মদরাহাট স্টেশনে তিনটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ওই তিনটি প্ল্যাটফর্ম সংযোগে ফুট-ওভারব্রিজটি বহু বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে মাঝেমধ্যে রং করা হয়েছে। কিছু জায়গায় তাপ্পি মারা হয়েছে। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে সংস্কার করা হয়নি। ওই ফুট-ওভারব্রিজ দিয়ে নিয়মিত বহু যাত্রী পারাপার হন। বিশেষত ২ ও ৩ সংযোগ প্ল্যাটফর্মের ফুট-ওভারব্রিজের স্ল্যাবে ফাটল ধরেছে। কিছু স্ল্যাব নড়বড় করছে। দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিটের ধাপগুলি পাল্টানো হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে জল পড়লে পিচ্ছিল হয়।
নিত্য যাত্রী জাহাঙ্গির মোল্লা, সামসের গাজিরা জানান, বহু বছর ধরে ফুট-ওভারব্রিজটি সংস্কার হচ্ছে না। অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন। না হলে যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে।
বারুইপুরের ফুট-ওভারব্রিজের স্ল্যাব ভেঙে দুর্ঘটনার পর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে মগরাহাট স্টেশন কর্তৃপক্ষ। শনিবার ব্রিজে ওঠা-নামার মুখে যাত্রীদের সতর্ক করার জন্য রেলকর্মী দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ব্রিজ পার হওয়া যাত্রীদের কাছে অনুরোধও করা হয়, একসঙ্গেও অনেকে হুড়মুড় করে উঠবেন না। সেতুর উপরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা জটলা পাকাবেন না।
ওই স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুট-ওভারব্রিজ সংস্কারের দরকার। তবে দিনের বেলায় অনেক ছেলে- মেয়েরা উপরে উঠে দাঁড়িয়ে গল্প করেন। সেলফি তোলেন। সেটা নিয়ম নয়।
মগরাহাট স্টেশন মাষ্টার প্রণব মণ্ডল বলেন, ‘‘ফুট-ওভারব্রিজটি সংস্কারের প্রয়োজন। ব্রিজের উপরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
রেল পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্টেশনে আমাদের ক্যাম্প রয়েছে। ব্রিজের উপরে কোনও জটলা করলে কর্মীরা গিয়ে তাদের নিষেধ করে।