নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালিবোঝাই একটি লরি ধাক্কা মারল রাস্তার পাশের চারটি বাড়িতে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ বারুইপুর থানার চক্রবর্তী আবাদপুরের এই ঘটনায় এক শিশু-সহ দুই মহিলা জখম হয়েছেন। ঘটনার পরে পলাতক ওই লরিচালক। তবে খালাসিকে আটক করেছে পুলিশ।
এ দিন সকালে ক্যানিং থেকে বারুইপুরের দিকে আসছিল লরিটি। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর চারটি বাড়িতে ধাক্কা মারে। অ্যাসবেস্টসের ছাদ ও টিন দিয়ে ঘেরা ওই বাড়িগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে উল্টে যায় লরিটি। বাসিন্দারা কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে এলেও এক বৃদ্ধা ও শিশু-সহ মোট তিন জন ভিতরে আটকে পড়েন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় আশেদা বিবি ও নাজিমন বেওয়া নামে দুই মহিলাকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে কুন্দুস শেখ নামে আহত ওই শিশুটি বারুইপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঠিক কী ঘটেছিল? এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘ভোরে জমিতে চাষের কাজ করছিলাম। আচমকা একটা বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি, চারটে বাড়িতে ধাক্কা মেরেছে লরিটি। তার পরে একটি বটগাছে ধাক্কা মেরে উল্টে গিয়েছে সেটি।’’ সাহিদা বিবি নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। আচমকা দেখি, ছাদ নীচে নেমে আসছে। কোনওরকমে ছেলেকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি।’’
কয়েক দিন আগে এলাকাতেই বালিবোঝাই একটি লরির ধাক্কায় এক মহিলা মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় বালিবোঝাই লরিচালকেরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান। ফলে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে বারবার। এ দিনও ওই লরিটির চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই রাস্তায় টহলদারি জোরদার করা হচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে চালানো লরিগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।