ভেজাল দুধ তৈরির চক্রের হদিস, ধৃত চার

ভেজাল দুধ তৈরির অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ময়নাহাট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি দুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ভুয়ো স্টিকার লাগানো একটি দুধের কন্টেনার আটক করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৫
Share:

ভেজাল ভর্তি কন্টেনার। শনিবার, বারাসতে। নিজস্ব চিত্র

ভেজাল দুধ তৈরির অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ময়নাহাট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি দুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ভুয়ো স্টিকার লাগানো একটি দুধের কন্টেনার আটক করা হয়েছে। তাতে প্রায় ১২ হাজার লিটার ভেজাল দুধ ছিল।

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ব্লিচিং ও ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেট-সহ নানা রাসায়নিক এবং একটি পাম্প উদ্ধার হয়েছে। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: স্বেচ্ছামৃত্যু নয়, জীবনে ফেরার স্বপ্নে বুঁদ যুবক

Advertisement

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের কাছে খবর যায় গাইঘাটা থেকে ভেজাল দুধ বোঝাই একটি কন্টেনার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ময়নাহাট এলাকার একটি গ্যারেজে আছে। ওই গ্যারেজে ভেজাল দুধ তৈরি হয় বলে আগেও অভিযোগ ছিল পুলিশের কাছে। তাই পুলিশের একটি দল ওই গ্যারেজের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। কন্টেনারটি গ্যারেজের ভিতরে ঢোকার পরেই ভেজাল দুধ তৈরির কাজ শুরু হয়। তখন পুলিশ গ্যারেজের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে চার জনকে ধরে।

পুলিশ জানায়, ভেজাল দুধ তৈরির সময়ে কন্টেনারের ১২ হাজার লিটার দুধ থেকে ১ হাজার লিটার আলাদা রাখা হতো। বাকি ১১ হাজার লিটার দুধে ব্লিচিং পাউডার, ডিটারজেন্ট, জল মেশানো হতো। আলাদা করে রাখা ১ হাজার লিটার দুধেও রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হতো। তার পর সেই দুধ আলাদা ভাবে চলে যেত বাজারে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরো দুধটাই বিষাক্ত এবং শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন