দেগঙ্গায় ভোটের পরবর্তী ‘হিংসা’, আহত

বারাসত লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কাকলি ঘোষদস্তিদার জয়ী হওয়ার পরেও দেগঙ্গায় হিংসা ছড়ানোর জন্য বিজেপি এ রাজ্যের শাসকদলকেই দায়ী করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসা যেন থামছে না উত্তর ২৪ পরগনায়। শুক্রবার রাত থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে দেগঙ্গা এলাকায়। তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিজেপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চলছে পুলিশ পিকেট।

Advertisement

বারাসত লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কাকলি ঘোষদস্তিদার জয়ী হওয়ার পরেও দেগঙ্গায় হিংসা ছড়ানোর জন্য বিজেপি এ রাজ্যের শাসকদলকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি, দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ১২৯ নম্বর বুথ থেকে এ বার ৪২টি ভোট বেশি পেয়েছে বিজেপি। সে কারণে এই সংঘর্ষ।

বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে তারা জিতে যাবে, এই আশঙ্কায় গত বছর তাদের কর্মীদের মারধর করেছিল তৃণমূল। বিজেপি সমর্থকদের ভোট‌ দিতে যেতে বাধাও দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বিজেপি জেলা নেতৃত্বের মতে, এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। তাই তাঁরা ওই বুথে জয় লাভ করেছেন। কিন্তু সেই ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল ফের সন্ত্রাস শুরু করেছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে মারধর করা হচ্ছে কর্মীদের। অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা ভোটে তারা জয়ী হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের ধরে ধরে মারধর করছে বিজেপি। এর জেরে বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সংঘর্ষ নিয়ে দু’পক্ষই তাদের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এখনও কেউ ধরা পড়েননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement