কিশোরীর দেহ মিলল পুকুরে

নিখোঁজ কিশোরীর অর্ধনগ্ন দেহ মিলল বাড়ির অদূরে পুকুরের জলে। বৃহস্পতিবার বসিরহাটের গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মিতালি বৈদ্য (১৬) (নাম পরিবর্তিত)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৭:৪৫
Share:

দেহ উদ্ধারের পরে উত্তেজনা এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

নিখোঁজ কিশোরীর অর্ধনগ্ন দেহ মিলল বাড়ির অদূরে পুকুরের জলে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বসিরহাটের গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মিতালি বৈদ্য (১৬) (নাম পরিবর্তিত)। শনিবার দুপুর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীরা মিতালির উপরে পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুন করে পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর দু’য়েক আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের অল্প দিন পরে বাপের বাড়ি ফিরে আসে সে। সম্প্রতি এলাকার দু’টি ছেলের সঙ্গে তাকে মেলামেশা করতে দেখা যাচ্ছিল। গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ছাগল চরাতে মাঠে গিয়েছিল মিতালি। তারপর থেকে খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কাছেই ঝোপঝাড়ে ঘেরা একটি পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে দেখে, অর্ধনগ্ন মেয়েটির মাথায় চুল নেই। জলে থেকে পচন ধরায় দু’টি হাতের বেশি অংশই নষ্ট হয়ে গেছে। মাথার চুল পুকুর ধারে আগাছার উপরে ছড়ানো। খুনের আগে তরুণীর উপরে অত্যাচার চালানো হয়েছিল বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

চার সন্তানের মধ্যে ছোট মিতালি। তার পিসি জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওর মোবাইলে ফোন করা হয়েছিল। যোগাযোগ করা যায়নি। রবিবার বিকেলে ওই নম্বরে ফোন করলে এক ব্যক্তি ফোন ধরে বলে, ‘আমরা বিয়ে করেছি। মিতালি ঘুমোচ্ছে। ওর জামাকাপড় কিনে দিয়েছি, চিন্তার কিছু নেই। তবে আমার বাড়ির লোক না মেনে নিলে মুম্বই চলে যাব।’ এ কথা বলার পরেই মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার ফের ফোন ধরে ওই পুরুষ কণ্ঠ। বলে, ‘আমরা এখন হাওড়ায় আছি। পরে কথা বলব।’ এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় কিশোরীর পরিবার। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে দু’জনের সম্পর্ক ছিল। তাদের একজন মেয়েটির জন্য এলাকারই একটি দোকানে সালোয়ার কামিজ তৈরি করতে দিয়েছিল। এ দিন মৃত্যুর খবর চাউর হতেই সে দর্জির দোকানিকে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে, পুলিশকে যেন কিছু না বলা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন