ভরা বিয়ের মরসুমেও ধূলো জমছে রূপো এবং তামা তৈরির কারখানায়। নগদের জোগানের অভাবে সেগুলিতে উৎপাদন প্রায় বন্ধ।
মগরাহাট-২ ব্লকে ধামুয়া উত্তর পঞ্চায়েতে এলাকায় গোপীনাথপুর, মৌখালি, হেরিয়া, দক্ষিণ বকনড়-সহ প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা স্থানীয় রূপো ও তামার কারখানায় কাজ করেন। অন্যান্য বছর বিয়ের মরসুমে এই কারখানার শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। কিন্তু এ বছর প্রায় উল্টো ছবি। বেশির ভাগ কারখানার গেটে তালা ঝুলছে। সেগুলির আশপাশে মুখ ভার করে ঘুরছেন কারখানার মালিক এবং শ্রমিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানাগুলিতে রূপোর বাট গলিয়ে থালা, গ্লাস, বাটি, সিঁদুরের কৌটো, মাথার মুকুট-সহ বিভিন্ন অলঙ্কার সামগ্রী তৈরি করা হয়। এই কারখানার মালিকেরা জানান, কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে রূপোর বাট সংগ্রহ করে আনা হয়। তার পর সেগুলি বিক্রি করা হয় কলকাতার বড়বাজার-সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। গোটা এলাকায় সব মিলিয়ে ২৫০টির বেশি এই ধরণের কারখানা রয়েছে। সারা মাসে সেখানে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়।
স্থানীয় মৌখালি গ্রামের বাসিন্দা রূপো কারখানার মালিক নিতাই মণ্ডল, উৎপল মণ্ডল, অশোক মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘আমাদের কারখানায় প্রায় ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। এখানে প্রতি মাসে দেড় থেকে দু’কুইন্টাল রূপো গলিয়ে অলঙ্কার তৈরি হয়। কিন্তু নগদ টাকার যোগান না থাকায় এলাকার প্রায় সব কারখানা বন্ধ।’’ স্থানীয় আরেক রূপো কারখানার মালিক সনাতন হালদার নিজেই রূপোর বাট কেনার পরে সেগুলি গলিয়ে দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট, তামিলনাড়ু-সহ সারা দেশের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু নগদ টাকা না থাকায় উৎপাদন প্রায় বন্ধ।
আপাতত শুধুই সুদিন ফেরার অপেক্ষা।