তালা: বড়্গাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কানাঘুষো ছিলই। সঙ্গে জুড়েছে পড়াশোনায় গাফিলতির অভিযোগ। যার জেরে শিক্ষকদের আটকে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকেরা। দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বড়্গাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বদলির দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে আসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শক এবং বিডিও অফিসের প্রতিনিধি। অভিযোগ খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁরা আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়্গাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছ’জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা আছেন। অভিযোগ, ২০৩ জন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার উন্নতিতে নজর নেই কারও। পাসের হারও নগণ্য। রাজ্য সরকারে ঘোষিত সংখ্যালঘুদের ফর্ম পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। বঞ্চিত হতে হচ্ছে সরকারি অনুদান থেকে।
গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘গত বছরে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ প্রতি ছাত্রের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ১৪ হাজার ৬০০ টাকার তহবিল হয়। অথচ, সারা বছরে বিদ্যুৎ বিল আসে ৩৬৮০ টাকা। এ সব অভিযোগেই এ দিন শিক্ষকদের তালা বন্ধ করে আটকে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক অভিভাবক।
প্রধান শিক্ষক সুদর্শন দত্ত বলেন, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা। পরিচালন সমিতির নির্দেশ মেনে টাকা নেওয়া হয়েছে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। সরকারি শিক্ষানীতি মেনে আমাদের স্কুলের শিক্ষকেরা পড়ান।’’ দুপুরে স্কুলে আসেন দেগঙ্গা ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শাহনওয়াজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ শুনেছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।’’