ঘরে ঝুলছে সুন্দরীর দেহ, পলাতক স্বামী

বুধবার সকালে রেজাউল ও তার পরিবারের লোকজন দরজায় তালা মেরে বেপাত্তা হয়। পড়শিরা অনেকক্ষণ পরে দেখেন, ঘরে দড়ির ফাঁসে ঝুলছেন সুন্দরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:১৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সংসার সুখের হল না সুন্দরীর। বিয়ের দেড় মাস ঘুরতে না ঘুরতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর। যতক্ষণে পড়শিদের চোখে পড়ল দেহ ঝুলছে ঘরে, ততক্ষণে পিঠটান দিয়েছে স্বামী রেজাউল-সহ বাকিরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগে বাদুড়িয়ার সুন্দরী বিবির (২৩) বিয়ে হয়েছিল হাসনাবাদের রামানন্দপুরের বাসিন্দা রেজাউল মোল্লার সঙ্গে। রেজাউলদের দাবি মেনে বিয়েতে উপঢৌকনও খুব কম দেওয়া হয়নি। তারপরেও নানা অজুহাতে অত্যাচার শুরু হয় মেয়েটির উপরে। আরও পণ আনার দাবিও ছিল। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরদের জানিয়েও সুরাহা হয়নি। সুন্দরীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ঘরের কথা কেন বাইরে গেল, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল গঞ্জনা। উল্টে অত্যাচারের মাত্রাও বাড়ে। বুধবার সকালে রেজাউল ও তার পরিবারের লোকজন দরজায় তালা মেরে বেপাত্তা হয়। পড়শিরা অনেকক্ষণ পরে দেখেন, ঘরে দড়ির ফাঁসে ঝুলছেন সুন্দরী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃতার আত্মীয়েরা রামানন্দপুরে যান। পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সুন্দরীর বোন আয়েশা সাহাজি। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খোঁজ চলছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

অন্য একটি ঘটনায়, মঙ্গলবার হাসনাবাদ থানার রামেশ্বপুর গ্রামে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় নির্মলা শিকারি মণ্ডল (২২) নামে এক তরুণীর। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর স্বামী কমল মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে সোনারপুরের নির্মলাকে বিয়ে করে হাসনাবাদের রামেশ্বপুর গ্রামের কমল। অভিযোগ, চাহিদা মতো যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছিল কমল। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশি হলেও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার দুপুরে জ্বলন্ত অবস্থায় নির্মলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ভাই সুজন জামাইবাবু-সহ বোনের শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, মারধরের পরে বোনের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন