কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু

কানে হেডফোন গুঁজে রাস্তাঘাটে চলাফেরা না করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বহু বার নানা ভাবে সচেতন করার চেষ্টা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৯
Share:

কানে-ফোন: বনগাঁয়। ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।

কানে হেডফোন গুঁজে রেললাইনে বসে মোবাইলে গেম খেলছিলেন এক যুবক। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে তাঁর।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের শিয়ালদা–হাসনাবাদ শাখার বসিরহাট ও ভ্যাবলা স্টেশনের মাঝে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ দাস (৪০) ওরফে সোনা। বাড়ি ছোটজিরাকপুরে।

কানে হেডফোন গুঁজে রাস্তাঘাটে চলাফেরা না করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বহু বার নানা ভাবে সচেতন করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সে কথা কারও কানে গেলে তো! একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটে চলেছে মোবাইলে গান শোনার নেশায়। তা-ও আবার রাস্তায় চলাফেরা করার সময়ে। বারাসত, বসিরহাট, বনগাঁ, হাবরা— নানা সময়ে নানা এলাকায় কানে হেডফোনে গুঁজে পথ চলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক’দিন আগেই বেলঘরিয়া স্টেশনে কানে হেডফোন গুঁজে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন এক যুবক। যা নিয়ে তুলকালাম চলে স্টেশনে। ট্রেন আসার ঘোষণা ঠিক মতো না হওয়াতেই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রে যদি এমন অভিযোগের সারবত্তা থেকেও থাকে, সে ক্ষেত্রেও হেডফোন গুঁজে বা মেসেজ-ফোন করতে করতে পথ চলতে গিয়ে বিপদের ঝুঁকি যে বাড়ে, সেই সত্যিটা উড়িয়ে দেওয়া যা না।

Advertisement

মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ বসিরহাটের দাসপাড়ার কাছে রেল লাইনের উপরে বসেছিলেন সোমনাথ। সে সময়ে ডাউনে শিয়ালদাগামী ট্রেন চলে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা রেল পুলিশকে জানিয়েছেন, হঠাৎ ট্রেন চলে আসায় লাইনের উপর থেকে সরে যেতে পারেননি সোমনাথ। তাই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। কানে হেডফোন থাকায় ট্রেন আসার আওয়াজ শুনতে পাননি সোমনাথ।

দুর্ঘটনার পরে এলাকার মানুষ তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন