জলময়: হাসপাতালের ওয়ার্ড। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
ভাঙা ছাদ থেকে বৃষ্টির জল পড়ছে। ভাসছে ওয়ার্ড, আউটডোর। এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়ছেন জয়নগরের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা। আউটডোরে আসা রোগীরাও সমস্যায় পড়ছেন। বিরক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
গত কয়েক দিন ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল হাসপাতালে।
ভাঙা হয়েছিল ছাদের একটা অংশ। দিন সাতেক আগে হঠাৎই মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে গিয়েছে ঠিকাদারি সংস্থা। সেই থেকে হাসপাতালের একটা অংশ ভাঙা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। ভাঙা ছাদের নীচে বিপজ্জনক ভাবেই গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের যাবতীয় কাজ চলছে। এর মধ্যেই সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। রাতে বেশ জোরে বৃষ্টি হয়। এতেই ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
কেন মাঝপথে বন্ধ হয়ে আছে হাসপাতাল সংস্কারের কাজ।
বিএমওএইচ শশাঙ্ক পোদ্দার দায়ী করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকেই। তাঁদের আপত্তিতেই ঠিকাদারি সংস্থা কাজ বন্ধ রেখেছে বলে জানান তিনি। জয়নগর ১ বিডিও নৃপেন বিশ্বাস জানান, কাজ চলাকালীন বালির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিছু স্থানীয় মানুষ। বালি পাল্টেও দেওয়া হয়। এরপরে স্থানীয়দের কাজে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি মেলে। এতেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি সংস্থাটি। আবার কাজ শুরুর জন্য সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসবেন বলে জানান বিডিও।
মেল ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী জামিল মোল্লা বলেন, ‘‘রাত থেকে আমার বেডের উপরে জল পড়ছিল। ডাক্তারবাবুকে বলতে বেডটা সরিয়ে নিতে বললেন। বেডটা সরিয়ে কোনও রকমে আছি।’’
পাশাপাশি জানলার কাচ ভাঙা থাকায় হুহু করে ঝোড়ো হাওয়া ঢুকছে বলেও অভিযোগ রোগীদের। রোগীর পরিবারের একজনের কথায়, ‘‘উপর থেকে জল পড়ছে। জানলা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছে। এই পরিস্থিতিতে থাকলে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কর্তৃপক্ষের ভ্রূক্ষেপ নেই।’’ হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানালেন, ক’দিন আগেই ছাদের চাঙর খসে পড়ে। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটতে পারত। এখন নতুন সমস্যা জল জমা।
ব্লক অফিস সূত্রের খবর, আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ৬টি ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। তা দিয়ে কোনও রকমে বৃষ্টির জল আটকানোর চেষ্টা চলছে।