হাসপাতালের ভ্যাট পরিষ্কার করতে উদ্যোগী সুপার

গামবুট পড়ে জেলা হাসপাতালের সুপার নিজেই এগিয়ে এলেন ভ্যাট পরিষ্কার করতে। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের অস্থায়ী ১২ জন কর্মী সুপার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে এই কাজে হাত লাগান।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

তখনও পড়ে রয়েছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

গামবুট পড়ে জেলা হাসপাতালের সুপার নিজেই এগিয়ে এলেন ভ্যাট পরিষ্কার করতে। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের অস্থায়ী ১২ জন কর্মী সুপার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে এই কাজে হাত লাগান।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার কাছে ওই ভ্যাটটি পরিষ্কার করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি বলে দাবি হাপাতাল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে বাধ্য হয়ে সুপারই পুরসভায় জরুরি ফোন করেন। এরপরে শুক্রবার পুরসভা থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু সাফাই কর্মী পাঠানো হয়নি। হাসপাতালের কর্মীরাও প্রথমে এই কাজ করতে রাজি হননি। পরে সুপারকে দেখে তাঁরাও এগিয়ে আসেন।

সুপার বলেন, ‘‘পুরসভার গাফিলতির জন্য এই সমস্যা তৈরি হল। তবে পুরসভা কথা দিয়েছে এ বার থেকে ভ্যাটটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে।’’ ওই ভ্যাটটি সাফাই করতে যা খরচ হবে তা পুরসভা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান মীরা হালদার। তাঁর কথায়, ‘‘এখন আমাদের সাফাই কর্মী নেই। সে কারণে লোক পাঠাতে পারেনি। এ বার থেকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে।’’ ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের সামনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের টোলট্যাক্স মোড় থেকে হরিণডাঙা যাওয়ার রাস্তার পাশে বছর পাঁচেক আগে একটি ভ্যাট তৈরি করা হয়েছিল। ওই ভ্যাটে জেলা হাসপাতালের সব আবর্জনা ও পচাগলা দেহাংশ ফেলা হয়। কিন্তু নিয়মিত তা পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। আবর্জনার বড় স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। ওই ভ্যাটের পাশের রাস্তা দিয়ে মানুষের যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। দুর্গন্ধে ওই এলাকায় টেকা দায় হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের। এর থেকে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করা হবে। কাজ কতটা এগিয়েছে তা দ‌েখতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসছেন রাজ্যের মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বসু ও মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা আসার আগে ওই ভ্যাটটি পরিষ্কার হওয়া জরুরি ছিল। সে কারণেই পুরসভাকে জরুরি ফোন করা হয়েছে বলে জানান আনোয়ার। তবে শ্রমিকেরা এই কাজ করে খুশি নন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এটা আমাদের কাজ নয়। কিন্তু সুপার সাহেবের কথা ফেলতে পারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন