উৎসাহ: বল পায়ে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
কারও বয়স তিরিশ, কেউ ষাটের উপরে। গ্রামের এই মহিলারাই জার্সি পড়ে ফুটবল মাঠে নেমে পড়লেন। ঝড়খালির প্রজাঘেরি গ্রামে এই মহিলারা সুন্দরবন রক্ষা করতে নদীবাঁধে মাটি দেন, ম্যানগ্রোভের চারা লাগান, সংসারের কাজকর্মও সারেন। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি বাড়ার আগে তাঁদের নিয়ে আয়োজন হয়েছিল ফুটবল ম্যাচের। দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে খেলায় যোগ দেন প্রজাঘেরি গ্রামের প্রায় ৮০ জন মহিলা। তাঁদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য হা ডু ডু, দড়ি টানাটানি-সহ নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সংস্থার তরফে গত কয়েক মাস ধরে এই মহিলাদের নানা ধরনের কাজ দেওয়া হচ্ছে। মূলত ম্যানগ্রোভ রোপণ, নদীবাঁধ মজবুত করার কাজ করছেন এই মহিলারা। এ বার তাঁদের জন্য খেলাধূলারও ব্যবস্থা হল। সরস্বতী, গীতা, চন্দনা, সুমিত্রা, নমিতাদের খেলা দেখতে এসেছিলেন ঝড়খালি পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুদাসী মণ্ডল, উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল, বেসরকারি সংস্থার সদস্য প্রশান্ত সরকার। গুরুদাসী বলেন, ‘‘মহিলারা এখন কোনও দিক থেকেই পিছিয়ে নেই, তা আরও একবার প্রমাণ হল। ঝড়খালির মতো প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাও সুযোগ পেলে ফুটবল মাঠে নিজেদের প্রতিভা দেখাতে পারেন, তা আমরা সকলে চাক্ষুষ করলাম।’’
প্রশান্ত বলেন, ‘‘গ্রামের এই মহিলারা সে ভাবে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাননি। সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য তাঁরা আমাদের সঙ্গে বাঁধ মেরামত, ম্যানগ্রোভ সৃজনের কাজ করছেন। তাঁদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্যই এই উদ্যোগ।’’