এটিএম কার্ডের নম্বর জেনে হাতানো হল টাকা

স্টেট ব্যাঙ্কের নাম করে টেলিফোনে এটিএম কার্ডের নম্বর নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল।শ্যামনগর গুড়দহের বাসিন্দা ওষুধ দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম সেল ও জগদ্দল থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৩
Share:

স্টেট ব্যাঙ্কের নাম করে টেলিফোনে এটিএম কার্ডের নম্বর নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

শ্যামনগর গুড়দহের বাসিন্দা ওষুধ দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম সেল ও জগদ্দল থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে তাঁর মোবাইলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন করা হয়। ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর-সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য এটিএম কার্ড ব্লক করার কথা বলা হয়। এটিএম কার্ডের নম্বরটি জানতে চাওয়া হয়।

অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘এটিএম কার্ড-সংক্রান্ত কোনও তথ্য ফোনে কাউকে না দেওয়ার কথা আমি জানতাম। ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনও দেখেছি। কিন্তু যখন ফোনটা আসে, তখন মেয়েকে ঘুম পাড়াচ্ছিলাম। খেয়াল ছিল না। শুধু কার্ডের নম্বরটা বলার পরেই মাথায় আসে, কাজটা ঠিক হল না।’’

Advertisement

ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।

বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে জানান। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেখানেও বারবার ফোন করেন। কিন্তু ওই নম্বরটি বন্ধ ছিল। বাড়ির কাছাকাছি একটি এটিএমে গিয়ে অ্যাকাউন্ট চেক করে তিনি দেখেন, দু’দফায় ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এটিএম নম্বর না দিলেও শুধু মাত্র কার্ডের নম্বর হাতিয়েও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে সোদপুরে এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী এবং ব্যারাকপুরের এক ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে হায়দরাবাদ থেকে দু’টি ফোন এসেছিল।

ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, যে নম্বর থেকে ফোন করে কার্ডের নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছিল, সেটির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন