এক বধূর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ফলতার বেলসিং বেনেপাড়া কলোনি থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোৎস্না বিবি (২৫)। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্বামী মইদুল আলি খাঁ ও শ্বশুর ইয়ার আলি খাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ, রবিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দ’শেক আগে নোদাখালির ৩ নম্বর বারকুজি গ্রামের জ্যোৎস্নার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় দিনমজুর মইদুলের। তাঁদের দুই কন্যাসন্তান। শুক্রবার রাতে টালির চালের একটি ঘরে স্বামী-স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিলেন। পাশের ঘরে দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে ছিল বড় মেয়ে।
পড়শিরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে মহিলা কন্ঠে ‘‘বাঁচাও, বাঁচাও’’ চিৎকার শোনা যায়। কয়েকজন গিয়ে দেখেন, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন জ্যোৎস্না। ডান দিকের কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দুই মেয়ে চিৎকার করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকেরা জ্যোৎস্নাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। পড়শি সালাউদ্দিন শেখ, গোলাম শেখরা জানান, মইদুল তাঁদের কাছে দাবি করেছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী স্ত্রীকে গুলি করে পালিয়েছে।
যদিও নিহতের বাবা কুতুউদ্দিন খাঁ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পণের দাবিতে মেয়ের উপরে নির্যাতন চলছিল। তার দাবি, ‘‘মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনই খুন করেছে।’’
অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাশুড়ি পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানান তদন্তকারীরা।