অভিযুক্ত প্রবীর বাগ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। তারপরেই তিন বছরের মেয়েকে রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছেন স্বামী, থানায় এমনই অভিযোগ করলেন শিশুটির মা।
মেয়ের বাবা প্রবীর বাগকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করা হয়েছে। গত শুক্রবার অচিন্ত্যনগরে খালের ধার থেকে ওই শিশুকন্যার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে কয়েক বছর হল নিজলিকে বিয়ে করেছিলেন অচিন্ত্যনগরের বাসিন্দা প্রবীর। তাঁদের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা তিন বছরের। পঁয়ত্রিশ বছরে প্রবীর নিজে তেমন কোনও কাজ করতেন না বলে পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। অভিযোগ, নিয়মিত মদ খেয়ে ঝামেলা বাধাতেন প্রবীর। গত মঙ্গলবারও মদ খেয়ে এসে স্ত্রীকে মারধর করেন।
ভয়ে ওই গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে যান নিজলি। পর দিন মেয়েকে নিতে এসেছিলেন। নিজলির অভিযোগ, ‘‘মেয়ের কথা জানতে চাওয়ায় স্বামী বলেন, মেয়ে ঠাকুমার কাছে রয়েছে। কিন্তু মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’
সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘প্রাথমিক সন্দেহের পরে কিছুটা জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রবীরকে গ্রেফতার করা হয়।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, মেয়ে হারালে বাবার যে রকম চিন্তা হয়, প্রবীর আচরণে তেমন কিছু দেখা যায়নি। থানায় অভিযোগও করেননি তিনি।
এই পরিস্থিতিতে দেহ উদ্ধারের পরে স্ত্রী নিজলি দাবি করেন, প্রবীরই রাগের মাথায় খুন করেছেন মেয়েকে। থানায় অভিযোগও করেন তিনি। মঙ্গলবার গ্রেফতারের পরে ঘটনার পুননির্মাণের স্বার্থে প্রবীরকে দফায় দফায় জেরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।