নিয়ন্ত্রণ হোক টোটো-ভ্যানোর

দক্ষিণ শহরতলি একটি রাস্তায় আবার যানজট পাকিয়েছে আনাজ ভরা ভ্যানো। তার চালকের সঙ্গে জোর তর্ক ব্যাটারিচালিত রিকশার আরোহীর। ব্রেক কষতে গিয়ে রিকশাটির পিছনের একটি চাকা উঠে গিয়েছে উপরে।কলকাতা পুলিশ এলাকায় টোটো, ভ্যানো আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো বন্ধ।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাস্তার এক ধারে মণ্ডপ। বাকি রাস্তায় শুরু হয়েছে গর্ত খোঁড়ার কাজ। পূর্ব কলকাতার ওই রাস্তায় এমনিতেই গাড়ির চাপ থাকে। তার মধ্যে হাজির টোটো। মাথাটা গলিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে সে। যানজট ছড়িয়ে পড়েছে বাকি রাস্তায়।

Advertisement

দক্ষিণ শহরতলি একটি রাস্তায় আবার যানজট পাকিয়েছে আনাজ ভরা ভ্যানো। তার চালকের সঙ্গে জোর তর্ক ব্যাটারিচালিত রিকশার আরোহীর। ব্রেক কষতে গিয়ে রিকশাটির পিছনের একটি চাকা উঠে গিয়েছে উপরে।কলকাতা পুলিশ এলাকায় টোটো, ভ্যানো আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো বন্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও শহরের পূর্ব ও পশ্চিমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওই সব যান। দক্ষিণ শহরতলিতে মাল বহনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ভ্যানো। একেই বাস, ট্যাক্সি, অটো, মিনিবাস, গাড়ির চাপে উৎসবের শহরে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার নাভিশ্বাস উঠেছে। নাগরিকদের প্রশ্ন, কেন সব দেখেও চুপ পুলিশ?

লালবাজার জানাচ্ছে, পুজোর মুখে ফের কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডকে ব্যাটারিচালিত রিকশা, টোটো এবং ভ্যানোর মতো বেআইনি যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উৎসবের শহরে পুলিশের নজর এড়িয়ে যাতে অলি-গলিতে ওই নিষিদ্ধ যান চলাচল করতে না পারে সে জন্যই লালবাজার ওই নির্দেশিকা জারি করেছে ।

Advertisement

গত জুনে কলকাতা পুলিশের তরফে কলকাতা পুরসভা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, টোটো এবং ভ্যানো চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। নির্দেশের পরে পরেই স্থানীয় পুলিশ বেশ কিছু ব্যবস্থা নিলেও বর্তমানে দক্ষিণ এবং পূর্ব শহরতলির সংযোজিত এলাকায় আখচার দেখা যাচ্ছে ওই যানগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টোটো ও অটোর গোলমাল ঠেকাতে পরিবহণ দফতর তার চলাচলের অনুমতি দিলেও কলকাতা পুরসভার এলাকায় তা নিষিদ্ধই রয়ে গিয়েছে। ই এম বাইপাস, মুকুন্দপুর, আনন্দপুর থেকে ঠাকুরপুকুর, ই এম বাইপাস, পূর্ব যাদবপুর, রিজেন্ট পার্ক এবং গড়িয়ার অলি-গলিতে ই-রিকশা চলাচল করে বহাল তবিয়তে। প্রথম বার সর্তক বার্তা দেওয়ার পরে ওই এলাকার পুলিশ কিছুটা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তারপরেও যানগুলি বিভিন্ন অলি-গলিতে ফের সক্রিয়, তা লালবাজারের কর্তাদের কানে পৌছোতেই নড়ে বসে লালবাজার। উৎসবের মরসুমে পুলিশকে আইনশ়ৃঙ্খলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই সুযোগে ফের ওই নিষিদ্ধ মোটর চালিত ই-রিকশা, টোটো এবং ভ্যানো যাতে এলাকায় জাঁকিয়ে বসতে না পারে সে জন্য পুজোর আগেই ফের নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে লালবাজার।’’ লালবাজার ওই নির্দেশ জারি করলেও তা অবশ্য কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের নিচু তলায়। পুলিশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, শহরের অলি-গলিতে মোটরচালিত ওই ই-রিকশা চলে রাজনৈতিক মদতেই। কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন