অবৈধ দোকান, বেআইনি পার্কিং সরানোর নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের

পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে শনিবার প্রশাসনিক বৈঠক হল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সদর দফতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৫
Share:

রাস্তার পাশে যত্রতত্র বাসের পার্কিং। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে শনিবার প্রশাসনিক বৈঠক হল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সদর দফতরে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো, ফেরিঘাটগুলোর নিরাপত্তা, রাজ্য সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা এবং রাস্তা ঠিক করা, রাস্তার আলো মেরামত করা এমন বেশ কয়েকটি সমস্যা নিয়ে পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী, মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক এবং শিল্পাঞ্চলের পুরপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন।

ডানলপের যানজট, বিটি রোডের দু’ধারের জায়গা দখল করে থাকা ইট, বালি, পুরসভার জঞ্জাল, অবৈধ দোকান এবং বেআইনি পার্কিং অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। ২০১২ সালে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট তৈরি হওয়ার পরেই বিটি রোড, ঘোষপাড়া রোড ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু চারজন পুলিশ কমিশনার বদলে গেলেও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য গত বছরই বিটি রোডের অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। তার আগে কেটে ফেলা হয়েছে ব্রিটিশ আমলে লাগানো বহু মূল্যবান গাছ।

Advertisement

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ছবিটাও এক। দুই লেনের এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের পর মাটি ও বালি ফেলার কাজ হলেও পিচ পড়েনি। তার উপর রাস্তার দু’ধার মাত্রাতিরিক্ত নিচু হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু দিন আগে পুলিশ কর্তারা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পর্যবেক্ষণের পরে রিফ্লেক্টর লাগানো, ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার কথা জানিয়েছিলেন। এ দিন সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। নির্বাচনের সময় ব্যারাকপুরের কয়েকটি ফেরিঘাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট থানা ওই সিসি ক্যামেরাগুলিতে নজর রাখতো। এখন সেটি বহুল পরিমাণে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এক সঙ্গে সব বড় ফেরিঘাটগুলোয় ভাসমান জেটি করার কথাও আলোচনা হয় পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘আলোচনা হয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছি আমরা। পথ নিরাপত্তার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’ মহকুমাশাসকও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী’র পরিকল্পনা সফল করতেই দ্রুততার সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের এই সমস্যাগুলো দ্রুত নিরসনে বৈঠক হয়েছে। পূর্ত, পরিবহণ-সহ সমস্ত দফতরগুলি অবিলম্বে কাজ শুরু করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন