(বাঁ দিকে) সিসি ক্যামেরায় চিহ্নিত দুই খুনি। (ডান দিকে) স্বর্ণ ব্যবসায়ী শঙ্কর জানা। —ফাইল চিত্র।
বরাহনগরে সোনার দোকানের ভিতরে মালিক খুন এবং অলঙ্কার লুটের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। এ নিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরও দুই পলাতকের খোঁজে পুলিশ।
বরাহগরে স্বর্ণব্যবসায়ী শঙ্কর জানা খুন এবং তাঁর দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এর আগে সঞ্জয় মাইতি এবং সুরজিত সিকদার নামে দু’জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। সঞ্জয়ের বাড়ি উত্তর কলকাতার বেনিয়াতলা এলাকায়। সুরজিত গৌরশঙ্কর ঘোষাল লেনের বাসিন্দা। সোমবার তাঁদের ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার পাঁচু সামন্ত নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩১০(৩) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর।
গত শনিবার দুপুরে বরাহনগর থানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে শম্ভুনাথ দাস লেনে নিজের দোকানের ভিতর খুন হন শঙ্কর। হাত-পা অবস্থায় প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, দোকানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে তাঁকে খুন এবং দোকান লুট করেন অভিযুক্তেরা।
পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় পাঁচ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। জানা যায়, তাঁদের তিন জন দোকানের ভিতরে ঢোকেন। দু’জন ছিলেন বাইরে। তখন দোকানে একাই ছিলেন মালিক। পুজোর পরে দুপুরে রাস্তাঘাটে লোকজন কম ছিলেন। তাই ওই সময়টাই বেছে নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। খুন এবং লুটের পর একটি দল পালিয়ে গিয়েছিল সিঁথির মোড়ের দিকে। অন্য দলটি পালায় দমদম স্টেশনের দিকে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তিন জন ধরা পড়েছে। বাকিরাও শীঘ্রই ধরা পড়বে।