Students Agitation at Bagda

ছাত্রীদের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’, মারে মাথা ফাটল শিক্ষকের! অভিযুক্ত বললেন, আমি ওদের মা বলে ডাকি

সোমবার সকালে একাদশ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রী প্রথমে জড়ো হন হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তাঁরা বাৎসরিক পরীক্ষায় না-বসে সহকারী প্রধানশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্লোগান তোলেন। সেখানে জড়ো হন অন্যান্য ছাত্রছাত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

স্কুলের সামনে বিক্ষোভ ছাত্রীদের। —নিজস্ব চিত্র।

দিনের পর দিন ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন সহকারী প্রধানশিক্ষক। কাউকে কাউকে খারাপ ইঙ্গিত করেন। সোমবার এই অভিযোগে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীদের মারে মাথা ফাটল অভিযুক্তের। যদিও সহকারী প্রধানশিক্ষকের দাবি, সবই ‘ষড়যন্ত্র’। কোনও কোনও সহশিক্ষক চান না যে তিনি প্রধানশিক্ষকের চেয়ারে বসেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার সকালে একাদশ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রী প্রথমে জড়ো হন স্কুলে। তাঁরা বাৎসরিক পরীক্ষায় না-বসে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্লোগান তোলেন। সেখানে জড়ো হন অন্যান্য ছাত্রছাত্রী। খানিক ক্ষণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্কুলে যায় বাগদা থানার পুলিশ। ঘেরাও হয়ে থাকা সহকারী প্রধানশিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, ওই সময় মারধরে মাথা ফেটেছে সহকারী প্রধানশিক্ষকের।

এর পর থানার সামনে বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বাগদা থানার সামনেও বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘উনি অনেক বাজে বাজে কথা বলেন ছাত্রীদের। সম্প্রতি আমাদের এক সহপাঠীকে বাজে ইঙ্গিত করেছেন। অনেককে রাতে ফোন করেন। ওঁর শাস্তি চাই। না-হলে পরীক্ষা দেব না।’’ আর এক ছাত্রী বলেন, ‘‘উনি ছাত্রীদের ধরে নিয়ে যাবেন বলেন। কাউকে পরোক্ষে ‘সেক্স’-এর কথা বলেন। কঠোর শাস্তি চাই ওঁর।’’

Advertisement

যদিও ওই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সহকারী প্রধানশিক্ষক। তিনি দাবি করেছেন, সহকারী প্রধানশিক্ষকের চেয়ারে বসায় স্কুলের কয়েক জন সহশিক্ষক তাঁকে অপদস্থ করতে চাইছেন। তাঁদের ষড়যন্ত্রে এ ভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি যাতে সহকারী প্রধানশিক্ষক না-হই সে জন্য কেউ কেউ চেষ্টা করেছেন। কোনও কোনও শিক্ষক এই বিক্ষোভের পিছনে আছেন। তাঁদের উস্কানিতে পড়ুয়ারা এই কাজ করছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ছাত্রীদের ‘মা’ বলি। ওদের খারাপ কথা বলতেই পারি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement