Bangladeshi Fishermen Detain

‘স্রোতের টানে’ বাংলার জলসীমায়, ২৮ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ট্রলার-সহ আটক কাকদ্বীপ থানার পুলিশের হাতে

ই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাকদ্বীপ-সহ আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের জেলে সেখানকার কয়েক জন মৎস্যজীবীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর। তেমনই এক বন্দির নাম প্রকাশ দাস। তাঁর মা প্রতিমা দাসের কথায়, “ছেলের মুখটা আর একবার দেখতে চাই। কী অবস্থায় আছে কিছুই জানি না।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:০০
Share:

বাংলাদেশি মৎস্যজীবী-সহ একটি ট্রলার আটক বাংলায়। —নিজস্ব চিত্র।

ভুল করে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢোকার অভিযোগে বাংলার প্রায় ৬১ জন মৎস্যজীবীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে সে দেশের ২৮ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী বন্দি হলেন কাকদ্বীপে। আটক করা হয়েছে বাংলাদেশের একটি ট্রলারও।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ২৮ জন মৎস্যজীবী-সহ একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করে ভারতীয় উপকূল-রক্ষী বাহিনী। গভীর রাতে টহলদারির সময় ট্রলারটিকে দেখতে পায় বাহিনী। শুক্রবার সকালে ওই মৎস্যজীবীদের ট্রলার-সমেত নারায়ণপুর মৎস্যবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে আটক বাংলাদেশিদের তুলে দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপ থানা পুলিশের হাতে।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়ম মেনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং নথিপত্র যাচাইয়ের পরে শনিবার ধৃতদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং উপকূলবর্তী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়েই নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী জানাচ্ছে, অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে টহলদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এখন রাতের দিকে সমুদ্রে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফের বাংলাদেশি ট্রলার ধরা পড়ায় সতর্কতা আরও বাড়াচ্ছে প্রশাসন।

Advertisement

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাকদ্বীপ-সহ আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের জেলে সেখানকার কয়েক জন মৎস্যজীবীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর। তেমনই এক বন্দির নাম প্রকাশ দাস। তাঁর মা প্রতিমা দাসের কথায়, “ছেলের মুখটা আর একবার দেখতে চাই। কী অবস্থায় আছে কিছুই জানি না।” বাংলাদেশে আটক হওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার আর এক মৎস্যজীবী প্রাণকৃষ্ণ দাসের আত্মীয়া মিলনি দাস বলেন, “প্রতি দিনই নতুন ভয় পাচ্ছি। খবর পেলেই মনে হয় খারাপ কিছু হল!”

স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নজরদারি জারি থাকবে। এখানকার মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement