দুর্ঘটনা এড়াতে লোহার ট্রলার

গত বছর সমুদ্রে ট্রলার উল্টে মৃত্যু হয়েছিল আট জন মৎস্যজীবীর। খোঁজ মেলেনি কয়েকজনের। দু’মাস পরেই ফের শুরু হচ্ছে মাছ ধরার মরসুম।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৬
Share:

প্রস্তুত: নতুন ধরনের ট্রলার। ছবিটি তুলেছেন শান্তশ্রী মজুমদার

গত বছর সমুদ্রে ট্রলার উল্টে মৃত্যু হয়েছিল আট জন মৎস্যজীবীর। খোঁজ মেলেনি কয়েকজনের। দু’মাস পরেই ফের শুরু হচ্ছে মাছ ধরার মরসুম। এ ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে সব সময়েই আশঙ্কায় থাকেন ট্রলার মালিক এবং মৎস্যজীবীরা। তাঁদের কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র তথা ইঞ্জিনিয়ার গৌতম রায়ের পরিকল্পনায় তৈরি লোহার ট্রলার। মৎস্যজীবীদের একাংশের দাবি, কাঠের ট্রলারের থেকে সেটি অনেক নিরাপদ। ফেব্রুয়ারি মাসে সেটি পরীক্ষামূলক ভাবে সমুদ্রে চালানোও হয়েছে।

Advertisement

কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা সতীনাথ পাত্র ওই ট্রলারটি পরীক্ষামূলক ভাবে চালানোর সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, লোহার ট্রলারটি তেল সাশ্রয়কারী। ওর ভেতর ফ্রিজিং প্ল্যান্ট রয়েছে। সেখানেই মাছ সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।’’ কাকদ্বীপের মৎস্য শ্রমিক সোনারঞ্জন দাস ওই ট্রলারের পরীক্ষামূলক সমুদ্র যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ট্রলারের লোহার মডেলটি অনেক নিরাপদ। জ্বালানি এবং বরফ খরচ কমে গেলে আমাদের লাভ হবে।’’

নিজের তৈরি ট্রলারে নিয়ে কী বলছেন কলকাতার বাসিন্দা গৌতমবাবু?

Advertisement

তাঁর দাবি, গত বছর কোচির একটি অনুষ্ঠানে মৎস্যজীবীদের ট্রলার দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। তার পরেই এ রকম ট্রলার তৈরির ভাবনা মাথায় আসে। তাঁর নকশা অনুযায়ী একটি বেসরকারি সংস্থা লোহার ট্রলারটি বানিয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। তাঁর দাবি, ‘‘লোহার ট্রলারটি তৈরির সময়ে সব রকম সরকারি নির্দেশিকা মাথায় রাখা হয়েছে। কাঠের ট্রলারের থেকে এটি অনেক নিরাপদ।’’

রাজ্যের ডেপুটি মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সন্দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই ট্রলারটির কথা শুনেছি। তবে সেটি কতখানি নিরাপদ, তা খতিয়ে না দেখে বলতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন